রিকশার পাদানিতে গুলিবিদ্ধ নাফিজের মরদেহ, মামলা করলেন বাবা

রিকশার পাদানিতে গুলিবিদ্ধ নাফিজের মরদেহ, মামলা করলেন বাবা

ছবি:সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় যে ছবিগুলো দেশের মানুষকে কাঁদিয়েছিল সেগুলোর মধ্যে একটি রিকশার পাদানিতে গুলিবিদ্ধ নাফিজের মরদেহের ছবি। যে সময় তাকে রিকশার পাদানিতে তুলে দেওয়া হয়। তখনো রড ধরে রেখেছিল নাফিজ। এরপর আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

এবার ওই ঘটনায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপিসহ ৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০ থেকে ৫০ জন অজ্ঞাত করে মামলা করেছেন নাফিজের বাবা।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) নাফিজের বাবা মো. গোলাম রহমান বাদি হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন।

মামলার আসামিরা হলেন-আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, (সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী), চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন (সাবেক আইজিপি), মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ (সাবেক ডিবি প্রধান), বিপ্লব কুমার সরকার, (ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার), মোহাম্মদ মহসীন (তেজগাঁও থানার তৎকালীন ওসি) সহ তেজগাও থানায় দায়িত্বরত অন্যান্য পুলিশ সদস্যসহ স্থানীয় কমিশনার ও অন্যান্য স্থানীয় আওয়ামীলিগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জন।

জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে গুলিতে মারা যান নাফিজ। পরিবারসহ থাকত মহাখালীতে। তার বাবা গোলাম রহমান ও মা নাজমা আক্তার। দুই ভাই তারা। নাফিজ ছোট। বড় ভাইয়ের নাম গোলাম রাসেল। সে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। ইচ্ছে ছিল, এইচএসসি পাস করে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার।