রাবিতে ফ্যাসিবাদ নির্মূল কমিটির আত্মপ্রকাশ

রাবিতে ফ্যাসিবাদ নির্মূল কমিটির আত্মপ্রকাশ

সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফ্যাসিস্ট নির্মূল কমিটির আত্মপ্রকাশ হলো।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ কমিটির শপথ বাক্য পাঠ করান ফকলোর বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক।

এ সময় আহ্বায়ক হিসেবে নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ও সদস্য সচীব হিসেবে অ্যারাবিক বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জসিম রানাসহ মোট ১২৪ জন শিক্ষার্থী শপথ বাক্য পাঠ করে।

তারা তাদের উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করেন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবকে চিরঞ্জীব রাখতে, এই বিপ্লবের গণহত্যাকারী ঘাতক এবং এই বিপ্লবের বিজয় থামাতে গণহত্যা থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যারা প্রকাশ্যে, মিডিয়ায় এবং নানান মাধ্যমে বিপ্লবী ব্যাতিক্রম সক্রিয় প্রতিক্রিয়া চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত শাস্তি প্রদানের ব্যাপারে চাপ প্রয়োগকারী সংগঠন হিসেবে কাজ করবে।

তাদের স্লোগান আমি বিদ্রোহী বীর, চির উন্নত মম শির। মোটো হলো, শিক্ষায় বিপ্লব, বিপ্লবে মুক্তি।

তাদের ৪টি দফা হলো, ১) জুলাই বিপ্লবকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চিরঞ্জীব রাখার প্রয়াসে সভা, সেমিনার, চিত্রাঙ্কন, প্রদর্শনী, নাটক, লেখনী এবং বিতর্ক সভার আয়োজন করা। ২) স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলাকারী অপশক্তিকে বিচারের আওতায় আনা। ৩) ২৪-এর বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যারা অপচেষ্টায় নিয়জিত এবং বিপ্লবের বিরোধিতা করে চক্রান্তের নতুন নতুন বয়ান দাঁড় করাচ্ছে তাদের প্রতিহত করা। ৪) জুলাই গণহত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার লক্ষ্যে চাপ প্রয়োগকারী শক্তি/সংস্থা হিসেবে কাজ করা।

আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেন, সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদ, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং বিপ্লব জাগিয়ে রাখতে ভূমিকা রাখতে চাওয়া বিপ্লবীদের অনুদান। এছাড়াও সংগঠনটির প্রকাশনা সামগ্রী থেকে লভ্যাংশের অর্থ-ই সংগঠনটির আয়ের উৎস।

এ বিষয়ে অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম কনক বলেন, আমরা বাংলাদেশে সব ধরনের ফ্যাসিবাদ মুক্ত দেখতে চাই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশে সাম্য, মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সে জায়গা থেকে ইতিপূর্বে বাংলাদেশে যে সকল শাসকগোষ্ঠী ছিলো তারা এদেশে একই কায়দায় সংবিধানকে ব্যবহার করে কমবেশি সকল দলই ফ্যাসিবাদকে কায়েম করেছে।