রোদে পোড়ার হাত থেকে ঠোঁটকে বাচাবেন যেভাবে

রোদে পোড়ার হাত থেকে ঠোঁটকে বাচাবেন যেভাবে

ছবিঃ সংগৃহীত।

তীব্র তাপদাহে কাজের জন্য বাসা থেকে বের হতেই হয়। অনেকে রোদে বের হওয়ার আগে জেল, ক্রিম, পাউডার, সানস্ক্রিনসহ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকে। তবুও অনেকের রোদে পোড়া দাগ দেখা যায়। তবে সানস্ক্রিন শুধু রোদের জন্যই নয়। ত্বকের বয়সজনিত সমস্যা, এমনকি ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে এই প্রসাধনীটি। কিন্তু শরীরের অন্যান্য অনাবৃত অংশে যেমন যত্ন নিয়ে জেল, ক্রিম, পাউডার, সানস্ক্রিন মাখেন ঠোঁটের ক্ষেত্রে তেমনটা ভাবেন কি?

শীতে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বলে ঠোঁটের যত্ন নেন অনেকে। তবে গরম এলেই হয়ে যান উদাসীন। ঠোঁটের যত্ন তখন আর নেওয়া হয়। কিন্তু আপনি যদি একজোড়া সতেজ, গোলাপি ঠোঁট চান তবে যত্ন নিতে হবে পুরো বছরজুড়েই। গরমে ত্বকে ট্যান পড়ে। এর প্রভাব পড়ে ঠোঁটের ওপরও। শুষ্ক ও আর্দ্রতার অভাবে ঠোঁট ফাটে। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি ঠোঁটে লালচে ভাব, ব্যথা ও জ্বালাভাব বাড়িয়ে তোলে। চলুন জেনে নিই গরমে কীভাবে ঠোঁটের যত্ন নেবেন- 

শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা— সময় যাই হোক, সবসময় ভরসা রাখুন লিপ বামে। ঠোঁটকে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি হাত থেকে রক্ষা করে এটি। এক্ষেত্রে এমন লিপ বাম ব্যবহার করুন যার মধ্যে এসপিএফ রয়েছে। এসপিএফ ১৫ যুক্ত লিপ বাম ঠোঁটের জন্য ভালো।

তবে লিপ বাম ব্যবহার করলে যদি ঠোঁটে ব্যথা, জ্বালাভাব অনুভব করেন, তবে ঘরোয়া উপায় বেছে নিন। ঠোঁটের ওপর বরফ লাগাতে পারেন। এতে আপনি ঠোঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পান। পাশাপাশি দূর হবে ট্যানও। এছাড়া রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটের ওপর অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। এটি প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফাটা ঠোঁট বা ঠোঁটের অন্যান্য ক্ষত সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে এটি।

গরমের সময় হালকা রঙের চেয়ে গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করাই বেশি ভালো। রোদে বের হলে ঠোঁটে গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগিয়ে নিন। এতে লিপস্টিকের স্তর ভেদ করে সূর্যরশ্মি সরাসরি ঠোঁটের ওপর পড়বে না। ফলে সহজেই ঠোঁটের সানবার্ন সমস্যা এড়ানো যাবে।

তবে ঠোঁটের সুরক্ষিত রাখতে কেবল বরফ আর লিপ বাম ব্যবহার করলেই চলবে না। ঘরের বাইরে বের হলে হ্যাট বা স্কার্ফ ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁটে সরাসরি রোদ পড়বে না। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। বারবার ঠোঁটের ওপর জিভ বোলাবেন না। এতে ঠোঁটের প্রদাহ বাড়ে।