নোয়াখালীতে গৃহবধূর উপর বর্বরতা : প্রধান আসামি বাদলসহ গ্রেফতার ৪

নোয়াখালীতে গৃহবধূর উপর বর্বরতা : প্রধান আসামি বাদলসহ গ্রেফতার ৪

প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান আসামি বাদলসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার ৩২ দিন পর রোববার রাত ১টায় ওই নির্যাতিতা নয়জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনার ভাইরাল হওয়া ভিডিও’র ভিত্তিতে পুলিশ রোববার রাত ১১টায় এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আঃ রহিমের ছেলে রহমত উল্লাকে (৪০) গ্রেফতার করে। এর আগে বিকেলে একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার হারাধন ভুইয়া বাড়ির শেখ আহমদ দুলালের ছেলে আঃ রহিমকে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে প্রধান আসামি বাদল ও অন্যতম হোতা দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১১। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড এলাকা থেকে সোমবার ভোর রাতে দেলোয়ারকে এবং বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।

নারায়ণগঞ্জে আদমজী অবস্থিত প্রধান কার্যালয়ের র‌্যাব-১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম জানান, দেশব্যাপী চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আমাদের কাছে খবর আসে, জড়িত কয়েকজন গা ঢাকা দেয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন। ওই খবরে র‌্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। মধ্যরাতে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা হাইওয়ে এলাকা থেকে এবং ভোরে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরো জানান, দুপুরে নারায়ণগঞ্জ র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। এরপর আসামিদের সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একলাশপুর ইউনিয়নের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার মেয়ের তার স্বামীর সাথে মনমালিন্য চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এ সুযোগে স্থানীয় বাদল ও দেলোয়ারের নেতৃত্বে এলাকার, রহিম, কালাম ও তাদের সহযোগীরা ওই নারীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই গৃহবধূর স্বামী শ্বশুর বাড়িতে আসেন। তারা ঘরে অবস্থানকালে স্বামীসহ গৃহবধূকে আটক করে অভিযুক্তরা ব্যাপক নির্যাতন ও ধর্ষণ চালায়। তারা স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেন। এ সময় নির্যাতনের নগ্ন ভিডিও ধারণ করে তারা। তারপর পুরো পরিবারকে আটকে রাখে। নির্যাতনকারী দল এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিবারকে তাদের বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করে।

এরপর ঘটনার ৩২ দিন পর ৪ অক্টোবর রোববার ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবস্ত্র নির্যাতনের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হলে সর্বত্র তোলপাড় সৃষ্টি হয়। টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের।