অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচতে ওজোনস্তর রক্ষা করতে হবে: ড. ইউনূস

অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচতে ওজোনস্তর রক্ষা করতে হবে: ড. ইউনূস

উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচতে ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর সূর্য থেকে নিঃসরিত ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি আটকে দিয়ে মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়।

তিনি বলেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, রেফ্রিজারেটর, এরোসল ও ফোম তৈরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কিছু দ্রব্যের কারণে এ অতি গুরুত্বপূর্ণ ওজোনস্তরে ক্ষয়সাধন ঘটেছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ওজোনস্তর ক্ষয়কারী এ সকল দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে জাতিসংঘের ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ১৯৮৭ সাল হতে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওজোনস্তর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে।

ড. ইউনূস বলেন, মন্ট্রিল প্রটোকলের কিগালি সংশোধনীর মাধ্যমে ওজোনস্তর ক্ষয়কারী দ্রব্যের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত বৈশ্বিক উষ্ণায়নে নেতিবাচক ভূমিকা পালনকারী উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফসি’র ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস এবং শক্তি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

এ বিষয়ে অগ্রগামী দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশও কিগালি সংশোধনী বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।

জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আশা করি, এবারের বিশ্ব ওজোন দিবস পালনের মাধ্যমে মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি ওজোনস্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।