ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত ৪০, বাড়িঘর-দোকানপাট ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে আহত ৪০, বাড়িঘর-দোকানপাট ভাঙচুর

প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে পূর্ববিরোধের জেরে আহলে সুন্নাতুল জামাত ও তাবলীগ জামাতের অনুসারী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময় দাঙ্গাকারীরা বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার চম্পকনগর এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়। এটা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা যায়, গত সোমবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন সাটিরপাড়া গ্রামের দৌলত বাড়ি দরবার শরিফ থেকে পীর সৈয়দ নাঈম হুজুর ও মাজেদুল হাসানের নেতৃত্বে একটি জশনে জুলুসের মিছিল বের হয়। মিছিলটি চম্পকনগর গ্রামে পৌঁছালে তাবলীগ জামায়াতের নেতা রহমত উল্লাহর সমর্থকরা বাধা দেন এবং কামাল নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। এই ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় সাটিরপাড়া, ইছাপুরা ও খাদুরাইল গ্রামের লোকজন চম্পকনগর গ্রামে আক্রমণ চালায়।

এসময় চম্পকনগর গ্রামের পক্ষে গেরারগাঁও ও নুরপুর গ্রামের লোকজনও সংঘর্ষে অংশ নেয়। দুই পক্ষের সহস্রাধিক মানুষ রামদা, বল্লম, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হন। এসময় দাঙ্গাকারীরা প্রতিপক্ষের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মো. মাছুম মিয়া জানান, সংঘর্ষে আহত ৩০ জনের বেশি ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

গেরারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দিন জানান, জশনে জুলুসের র‌্যালিকে কেন্দ্র করে আগের ঘটনার জের ধরে ফের সংঘর্ষ হয় এবং দাঙ্গাবাজরা তার ও অন্যান্য লোকজনের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। বিজয়নগর সদর সার্কেল বিল্লাল হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।