ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সঠিক উপায় জানেন না অনেকেই

ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সঠিক উপায় জানেন না অনেকেই

ফাইল ফটো

ডেস্কটপ কম্পিউটারের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে চলেছে ল্যাপটপ কম্পিউটারের জনপ্রিয়তা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ল্যাপটপের চাহিদাই বেশি। তাই দরকারি এই ডিভাইসটির যত্ন নেওয়া জরুরি। না হলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রতিদিন এই ল্যাপটপেই অসংখ্য কাজ করা হয়। ফলে নোংরা হয়। কিন্তু ল্যাপটপ পরিষ্কারের সঠিক উপায় জানেন না অনেকেই। 

বর্তমানে কাজের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু ল্যাপটপ ব্যবহার করার সঙ্গে সঙ্গে এটি পরিষ্কার রাখাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আসলে ল্যাপটপ তো সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকছে। ফলে তাতে ময়লা এবং জীবাণু বাসা বাঁধতেই পারে।
খাওয়ার সময় কফি কিংবা খাবার পড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে হাঁচি-কাশি দিলে তার ড্রপলেট ল্যাপটপের স্ক্রিন ও কি-বোর্ডে থাকতে পারে। আর তাতে হাত দিলেই সংক্রমণের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। ফলে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে, টয়লেট সিটে যে পরিমাণ জীবাণুর বাস, ল্যাপটপের স্ক্রিনেও সেই পরিমাণ জীবাণু পাওয়া যাবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, ল্যাপটপ সাফসুতরো রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

আসলে অনেকে ল্যাপটপ ব্যবহার করেন ঠিকই, তবে এটি পরিষ্কার রাখার সঠিক উপায় জানেন না। 

ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি-
ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সময় কম্পিউটারটি বন্ধ রাখুন। আর যদি বন্ধ রাখতে নাও পারেন তবে স্লিপ মোডে রাখুন। চার্জার থেকে ল্যাপটপটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। ল্যাপটপ গরম থাকলে ৫ মিনিট অপেক্ষা করে তা পরিষ্কার করা যাবে। আর ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সময় পানি একেবারেই ব্যবহার করা চলবে না।
 
ল্যাপটপের স্ক্রিন এবং কি-বোর্ড পরিষ্কার করার সঠিক উপায়-
১. ল্যাপটপ পরিষ্কার করতে শুরু করার আগে মাইক্রোফাইবার কাপড়ে সামান্য পানি দিতে হবে। তার পর প্রথমে ল্যাপটপের স্ক্রিন পরিষ্কার করতে হবে। তবে হ্যা এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ল্যাপটপের স্ক্রিন পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি চাপ প্রয়োগ করা একেবারেই উচিত নয়।
২. ল্যাপটপ পরিষ্কার করার সময় সরাসরি পানি অথবা কোনও মিশ্রণ ব্যবহার করলে চলবে না। যদি পানি কিংবা মিশ্রণ ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে তা সব সময় মাইক্রোফাইবার কাপড়েই খুব স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত। কারণ সরাসরি কোনও মিশ্রণ ব্যবহার করলে তা ল্যাপটপের ভিতরে গিয়ে মাদারবোর্ডের ক্ষতি করতে পারে।
৩. ল্যাপটপ পরিষ্কার করার জন্য কখনও ব্লিচ এবং অ্যামোনিয়া ব্যবহার করা উচিত নয়। অন্য দিকে কেউ যদি একটি সাধারণ কাপড় দিয়েও প্রতিদিন ল্যাপটপ পরিষ্কার করেন, তাহলে সেই ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় ধরে পরিষ্কার থাকতে পারে।
৪. অনেক সময় খাবারের ছোট কণা ল্যাপটপের কি-বোর্ডের ভেতরে আটকে যায়। কেউ যদি ধুলার পাশাপাশি এই খাবারে কণাগুলোও বের করে আনতে চান, তাহলে এয়ার প্রেশার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ল্যাপটপের কি-বোর্ডের ভেতরের অংশও পরিষ্কার করা সম্ভব।
৫. ল্যাপটপ পরিষ্কার করা মানে শুধুমাত্র ল্যাপটপের স্ক্রিন এবং কি-বোর্ড পরিষ্কার নয়। সেই সঙ্গে আরও কিছু জিনিসও পরিষ্কার রাখা আবশ্যক। এর মধ্যে অন্যতম হল ল্যাপটপের চার্জিং পোর্ট, ইউএসবি পোর্ট এবং অডিও পোর্ট। এই জিনিসগুলোও নির্দিষ্ট সময় অন্তর ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত।