পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

পাকিস্তানকে ৭০০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে আইএমএফ

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ সংকটে পড়া পাকিস্তানের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এই বর্ধিত তহবিল সুবিধার অনুমোদন করেছে আইএমএফের পরিচালনা পর্ষদ, যা দক্ষিণ এশীয় দেশটির চাপে থাকা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের কার্যালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, শিগগিরই এই ঋণের প্রথম কিস্তি এক বিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে, বাকি অর্থ মিলবেন তিন বছরের মধ্যে।

পাকিস্তান আইএমএফের পঞ্চম বৃহত্তম ঋণগ্রহীতা দেশ, ১৯৫৮ সাল থেকে আইএমএফ থেকে ২০টিরও বেশি ঋণ নিয়েছে তারা। 

এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই শাহবাজ শরীফ নিউইয়র্কে আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং এই ঋণ প্যাকেজের অনুমোদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাতে আইএমএফ প্রধান পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নতির প্রশংসা করেন। তিনি সরকারের নেয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোর প্রতিও সন্তোষ প্রকাশ করেন, যা আইএমএফের ঋণ অনুমোদন সহজ করেছে বলে উল্লেখ করেন।

আইএমএফ প্রধান বলেন, আমাদের কাছে সুসংবাদ রয়েছে। আমরা সফলভাবে ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা সম্পন্ন করেছি। পাকিস্তানের সরকার এবং জনগণকে অভিনন্দন জানাই তাদের নিজস্ব সংস্কার এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যা এরই মধ্যে সুফল বয়ে আনছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কমেছে এবং অর্থনীতি একটি দৃঢ় পথে রয়েছে।

সংস্কারগুলো পাকিস্তানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উপকারে আসছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অনুভব করছি, এটি ঘটছে। সরকার ধনীদের কাছ থেকে কর সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে এবং বেনাজির কর্মসূচিকে শক্তিশালী করেছে, যা দরিদ্রদের সহায়তা করছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবদেনে তথ্যানুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এটিই হবে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ থেকে নেওয়া শেষ ঋণ। চুক্তির অংশ হিসেবে ইসলামাবাদ জনগণ এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা করের পরিমাণ বাড়ানোসহ বেশ কয়েকটি অজনপ্রিয় পদক্ষেপে সম্মত হয়েছে। 

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শাহবাজ শরীফ এই ঋণ অনুমোদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংস্কারের বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েক বছর ধরে অর্থনীতিসহ নানা সংকটে ভোগা দেশটি কয়েক দশক ধরে চাহিদা মেটাতে আইএমএফের ঋণের ওপর নির্ভর করছে। গত বছর দেশটি ঋণ খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যা ছিল, তাতে মাত্র এক মাসের আমদানি ব্যয় মিটতো। সেই সংকট সামান্য কাটতে শুরু করেছে।
সূত্র: ডন, বিবিসি