পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মিরসরাই জামায়াতের মতবিনিময়

পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মিরসরাই জামায়াতের মতবিনিময়

সংগৃহীত

মিরসরাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে জামায়াতে ইসলামী। 

দলটির মিরসরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে  বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকালে পৌর সদরের একটি রেস্টুরেন্টে এই মতবিনিময় সভায় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর করার বিষয়টি প্রাধান্য পায়। 

উপজেলা জামায়াতের আমির নুরুল কবিরের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার উল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন সিকদার। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন। এসময় জোরারগঞ্জ থানার আমীর নুরুল হুদা হামিদী, সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভার আমীর মাওলানা মো. শিহাব উদ্দিন, জোরারগঞ্জ থানার অর্থ সম্পাদক ডা. আবদুল গফুর, মিরসরাই থানা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক  মাওলানা নিজাম উদ্দিন, করেরহাট ইউনিয়নের আমীর মাস্টার আরিফ হোসেন, জোরারগঞ্জ থানা শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ানুল হক, মিরসরাই  উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি সাকিব হোসাইন। এছাড়া মিরসরাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অনির্বাণ চৌধুরী রাজিব, সদস্য  সনজিব কুমার নাথ, বিপুল দাস, রতন কুমার দাস প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন সিকদার বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বছরের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। 

জামায়াতে ইসলামী মিরসরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার পুজা মন্ডপগুলোতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নির্বিঘ্ন করতে সহায়তার জন্য প্রস্তত রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী সবসময় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। সবাই এদেশের নাগরিক। সবাই আমরা একি আলোবাতাসে বসবাস করি। যারা ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করে সংখ্যালোগু তকমা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায় তাদের পরিচয় তারা দুষ্কৃতকারী। তাদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে সবাইকে। 

মিরসরাই উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অনির্বাণ চৌধুরী রাজীব বলেন, আমি অনেক জায়গায় বলেছি বর্তমান জামাত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান এমন একজন মানুষ, তার কথাগুলি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। সারাদেশে জামায়াতে ইসলামী যেভাবে হিন্দুদের পাশে ছিলো তা স্বীকার না করলে অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবো। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অনেক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তবে অধ্যাবদি পর্যন্ত মিরসরাইতে কোন ঘটনা ঘটে নাই। কোন হিন্দু বাড়িতে হামলা হয় নাই, কোন মঠ মন্দিরে হামলা হয় নাই। তবে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের পদে আছেন এ ধরনের  হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেসব জায়গায়  বসতেন সেসব স্থানে হামলা ভাংচুর হয়েছে।