মাহমুদুর রহমানের উপর হামলার ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের
ছবি : প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ায় ২২শে জুলাই ২০১৮ সালে আদালত চত্বরে মানহানি মামলার জামিন নিতে এসে জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় নিজে হাজির ও বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ৪৭জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এজাহার দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাফুজ।
আজ বৃহস্পতিবার ১০শে অক্টোবর দুপুর ১টায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দায়ের করেন তিনি। এ সময় মাহমুদুর রহমানের সাথে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ। কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জুবায়দ রিপন, দৈনিক আমার দেশের জেলা প্রতিনিধি মজিবুল শেখ।
এজাহার দায়ের শেষে থানা থেকে বের হওয়ার সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন এই এজাহার কোন আক্রোশ বা প্রতিশোধের জন্য নয় এই মামলা। এটির একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য আছে সেই উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে যেন আর কোনদিন শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের মত আরেকটি ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে। তাই তার জন্য উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি বলেন। যাতে বাংলাদেশের গণমানুষের অধিকার, বাক স্বাধীনতা ও আদালতের মর্যাদা রক্ষা পায়। এই কারনে তিনি এজাহার দায়ের করেন বলে জানান। এই সময় তিনি পলাতক আসামীদের ধরতে ইন্টারপোলের সাহায্যের মাধ্যমে গ্রেফতার করে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পরে তিনি কুষ্টিয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে জেলার সকল স্তরের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটুক্তি করা প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় মাহমুদুর রহমান জামিন নিয়ে কুষ্টিয়া আদালত চত্ত্র ছাড়ার সময় সেসময়ের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার ও সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদের নেতৃত্বে তার গাড়ীবহরে হামলা চালায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় গুরুতর আহত হন মাহমুদুর রহমান।