রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে মার্কিন সরকার দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রভাবশালী ম্যাগাজিন পলিটিকো এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
ইউক্রেন
রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ায় বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট যখন ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে দূর পাল্লার অস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিক তখনই এমন হামলা চালানোর খবর এলো।
ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হাঙ্গেরিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অধিকার পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত যে কোনো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কিয়েভকে সমর্থন করবে না হাঙ্গেরি বলে হুমকি দিয়েছেন ন্যাটো মিত্র হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান।
মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে রুশ নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত ও আরও শতাধিক রাশিয়ান সেনা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী।
দক্ষিণে ঝাপোরিজিয়া ও পূর্বে বাখমুত রণক্ষেত্রে পালটা আক্রমণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সাফল্য পাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী।
পশ্চিমাদের কাছ থেকে ইউক্রেন যত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচ্ছে, রুশ বাহিনীর স্থাপনায় হামলা ততই বাড়ছে।
ইউক্রেনকে উন্নতমানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৩০০ কিলোমিটার রেঞ্জের কিছু এটিএসিএমএস (আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম) ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানো হবে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এম-১ আব্রামস ট্যাঙ্কের প্রথম চালান আগামী সপ্তাহে ইউক্রেনে পৌঁছবে। এসব অস্ত্র রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে ধীর গতিতে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কিয়েভের বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করে তুলবে
ইউক্রেনকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাতেউজ মোরাভিকি এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল (বুধবার) তিনি বলেন, ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের পরিবর্তে পোল্যান্ড এখন থেকে নিজের নিরাপত্তার দিকে মনোযোগ দেবে।
রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।