মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাটো যদি ব্যাটল ট্যাংক ও দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মতো ভারী অস্ত্র ইউক্রেনে মোতায়েন করে, তবে পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেন
ইউক্রেন হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের বিষয়টি তদন্ত করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। ইউক্রেনে বুধবার হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরো ১৩ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে
২০১৪ সালে দখল নেয়া ক্রিমিয়া রয়েছে। সেইসাথে রয়েছে, মাস চারেক আগে গণভোটের মাধ্যমে জুড়ে নেয়া ইউক্রেনের চার অঞ্চল— ডনেৎস্ক ও লুহানস্কের (একত্রে এই দুই অঞ্চলকে ডনবাস বলা হয়) পাশাপাশি জাপোরিজিয়া ও খেরসন। সবগুলো অঞ্চলকেই দেখানো হয়েছে ইউক্রেনের অংশ হিসেবে।
ইউক্রেনে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮ জন শীর্ষস্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
পোল্যান্ডে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে জরুরি বৈঠক হয়েছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের প্রায় এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে প্রথমবারের মতো এ ধরনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।
রাশিয়ার দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনজুড়ে লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। এছাড়া এসব হামলায় নিহত হয়েছে পাঁচজন। রুশ হামলায় বিশেষ করে কিয়েভ ও খারকিভ অঞ্চলে ক্ষতি হয়েছে বেশি।
রাশিয়া তার শীর্ষ জেনারেলকে ইউক্রেন যুদ্ধের দায়িত্ব দিয়েছে। এর মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে কয়েক মাস ধরে পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে দেশটি তার সামরিক কমান্ড কাঠামোতে বড় ধরনের ঝাঁকুনি দিয়েছে।
পূর্ব ইউক্রেনে ডনবাস অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধের পর সোলেডার নামে একটি শহরের অধিকাংশেরই নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিয়েছে রাশিয়া ।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন প্রতি রোববার ৫০ জন করে বন্দী সেনা বিনিময় করার একটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। পূর্ব ইউক্রেনে তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত হলেও উভয় পক্ষই এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একতরফাভাবে ইউক্রেনে ৩৬ ঘন্টার এক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও কিয়েভ তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিভিন্ন স্থানে লড়াই অব্যাহত রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।