রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একতরফাভাবে ইউক্রেনে ৩৬ ঘন্টার এক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও কিয়েভ তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিভিন্ন স্থানে লড়াই অব্যাহত রয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ইউক্রেন
এক দিনে রাশিয়ার অন্তত ৮০০ সেনাকে হত্যার দাবি করেছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। এ সময় একটি বিমান, একটি হেলিকপ্টার ও তিনটি ট্যাংক ধ্বংস হয়েছে বলেও জানা গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সাথে তার দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সেখানে ফরাসি প্রেসিডেন্ট দ্রুত এএমএক্স-১০ যুদ্ধের ট্যাঙ্ক ইউক্রেনে পাঠানোর কথা বলেছেন।
ইউক্রেনের মাকিভকা শহরে নতুন বছরের শুরুতেই ভয়াবহ হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার নাগরিকরা নিহত সৈন্যদের প্রতি শোক জানাতে জড়ো হয় এবং সেখানে তাদেরকে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করা রাশিয়ায় একটি বিরল ঘটনা।
রাশিয়া নববর্ষের দিনে ইউক্রেনের হামলায় তাদের ৬৩ সৈন্যের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে। রুশ-দখলে থাকা দনেৎস্ক অঞ্চলে অস্থায়ী ওই সামরিক শিবিরে হামলা চালিয়ে কয়েক শ' রুশ সৈন্য নিহত করার দাবি করেছিল ইউক্রেন।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্কে এক রকেট আক্রমণ চালিয়ে কয়েক শ’ রুশ সৈন্যকে হত্যা করেছে। বিবিসির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, নিহত রুশ সৈন্যের সংখ্যা প্রায় ৪০০ হতে পারে।
পশ্চিমা দেশগুলোকে অবশ্যই ইউক্রেনকে দীর্ঘ মেয়াদে সাহায্য করার প্রস্তুতি রাখতে হবে। কারণ, রাশিয়ার নমনীয়ও হওয়ার কোনো লক্ষ্য নেই। ন্যাটো মহাসচিব এই কথা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলছে, নতুন বছর শুরু হওয়ার সময়টিতে তারা রাশিয়ার ছোঁড়া ৪৫টি বিস্ফোরক ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে।
ইউক্রেনের সরকার বলছে, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া যুদ্ধ শুরু করার পর এযাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। এসব হামলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছে।
মস্কো সোমবার বলেছে, তারা ইউক্রেনের নতুন এক ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে। তাদের যৌথ সীমান্ত থেকে কয়েকশ’ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি সামরিক বিমান ঘাঁটিতে কিয়েভ এ হামলার চেষ্টা চালায়।