যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলের একটি গ্রামের মুদিদোকান ও ক্যাফেতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৫১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর হামলায় প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটেছে বলে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
ইউক্রে
গত বছরের শেষ দিকে জাতিসংঘের অস্ত্র বিধিনিষেধ অমান্য করে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের জন্য পাঠানো ইরানি অস্ত্রের চালান মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ সাগর পথে আটকে দেয়।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী মঙ্গলবার বলেছে, তারা ২৯টি ড্রোন এবং একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে। এগুলো রাশিয়া রাতভর ইউক্রেনের অঞ্চলগুলোতে আক্রমণ করতে ব্যবহার করতো।
যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেন, তার আশা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে বের করতে সক্ষম হবে।
প্রথমবারের মতো প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন হতে পারে। ব্রিটেনের নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এ কথা বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে বলে জানান।
রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘কিয়েভের নাৎসি সরকার পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত বিশেষ সামরিক অভিযান চলবে। জয় আমাদের হবে এবং রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হবে আরও নতুন অঞ্চল।’
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে মার্কিন সরকার দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। মার্কিন প্রভাবশালী ম্যাগাজিন পলিটিকো এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ায় বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট যখন ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে দূর পাল্লার অস্ত্র ও অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন ঠিক তখনই এমন হামলা চালানোর খবর এলো।
ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হাঙ্গেরিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অধিকার পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত যে কোনো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কিয়েভকে সমর্থন করবে না হাঙ্গেরি বলে হুমকি দিয়েছেন ন্যাটো মিত্র হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান।
মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে রুশ নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত ও আরও শতাধিক রাশিয়ান সেনা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী।