রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কোভিড মহামারির প্রভাব ও জলবায়ু সংকট মোটা দাগে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশ ও এ তিন সংকটে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার।
বিশ্বব্যাংক
দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার আজ বাংলাদেশে তার দ্বিতীয় সফর শেষ করেছেন এবং এবং বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং একইভাবে সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করার জন্য ঋণদানকারী সংস্থার অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং বাংলাদেশ ও ভুটানের নবনিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসে আজ সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।অর্থমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় সভায় বিশ্বব্যাংকের ভাইস-প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
দেশকে স্থিতিস্থাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে সাহায্য করতে পারে সেসব বিষয়ে সরকারের সাথে আলোচনা করতে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার শনিবার ঢাকায় আসছেন।
বেশিরভাগ উন্নয়নশীল অর্থনীতির মুদ্রার সঙ্কুচিত মূল্য খাদ্য ও জ্বালানির দামকে এমনভাবে চালিত করছে যা খাদ্য ও জ্বালানির সংকটকে আরও গভীর করতে পারে।
কোভিড-১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের ওপর শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সঙ্কট, বৈশ্বিক মন্দা, পাকিস্তানে প্রলয়ংকরী বন্যা ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কারণে দক্ষিণ এশিয়া বেশ কিছু অভূতপূর্ব ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছে।
বাংলাদেশের বন্যাপ্রবণ ১৪ জেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতির উন্নতিতে ৫০০ মিলিয়নের ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। এতে ১ দশমিক ২৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক ইউক্রেনের জন্য অতিরিক্ত দেড়শ’ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে।এ নিয়ে মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে চারশ’ কোটি ডলারেরও বেশি।
বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার অর্থ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই হাজার ১২৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)।করোনাপরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই অর্থ দিচ্ছে সংস্থাটি।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক চার শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।