রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌঁছেছে মিয়ানমারের ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে কার্গো ট্রলারে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশ সফরে আসে।
মিয়ানমার
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, মিয়ানমারে সকালে রিখটার স্কেলে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৪ কিলোমিটার গভীরে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে তেমন প্রভাব না ফেললেও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে মিয়ানমারে। একটি এলাকায়ই ৪০০ মানুষের প্রাণহানির তথ্য পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারে ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে একটি মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়েছে। এ সময় বাতাসের তীব্র গতির কারণে কেঁপে উঠেছে তিনতলা বাড়ি-ঘরও।
উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র মূল কেন্দ্র কক্সবাজারের ২৫০ কিলোমিটার কাছে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে এর অগ্রভাগ কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে।
আজও বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মিয়ানমারের চাউক। তাপমাত্রা বিষয়ক ওয়েবসাইট এলডোরাডো ওয়েদার ডটকমের তথ্যমতে, বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চাউকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়েই এখন মিয়ানমারে যাওয়া না যাওয়া নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে। কিন্তু দুবারের ব্যর্থতার পরে এবারও প্রত্যাবাসন সফল হবে কিনা, তা নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা।
প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের মংডু এলাকা পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানকার পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে শুক্রবার (৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টায় তারা টেকনাফ জেটি ঘাটে ফেরে।
মিয়ানমারের উদ্দেশে যাত্রা করেছে ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। যেখানে ৩ নারীসহ ২০ জন রোহিঙ্গা, একজন অনুবাদক ও ৬ জন বিভিন্ন দপ্তরের বাংলাদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন। পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য ২টি বিজিবির স্পিডবোটসহ ১৬ জন বিজিবি সদস্য রয়েছেন।
বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের ২০ জনের একটি দল যে মিয়ানমারে যাচ্ছে, প্রত্যাবাসনের এ প্রচেষ্টাও শেষ অবধি ‘আইওয়াশ’ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।