সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ লাঘবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মূল্যস্ফীতি
এ নিয়ে টানা চার মাস ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার কমল, যদিও তা রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) নির্ধারিত সহনশীল সীমার উচ্চতম হারের চেয়ে সামান্য বেশি।
মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে। এক যুগের মধ্যে এ হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত মে মাসে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দুই অঙ্কের একেবারেই কাছাকাছি অর্থাৎ ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে টানা তিন মাস মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার বেশি মাত্রায় বাড়লেও মজুরির হার বেড়েছে তুলনামূলকভাবে কম।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে আলোচনা আর আশঙ্কার মধ্যেই অর্থনীতির এ গুরুত্বপূর্ণ সূচক পৌঁছে গেছে ১০ শতাংশের কাছাকাছি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সোমবার হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে মে মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে, যা এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মূল্যস্ফীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা আগামী বাজেটের সবচেয়ে বড় মাথা ব্যথার কারণ হবে। তাই, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি জোরদার করে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন জীবনচলার বিষয়টি অবশ্য অগ্রাধিকারের দাবি রাখবে।
পাঁচমাস পর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি আবারো বেড়েছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতির সাথে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
বৈশ্বিকভাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে চলেছে। নিন্ম আয়ের, মধ্যম আয়ের ও ধনী দেশগুলোয়ও থেমে নেই খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার।
গত ৪ মাস ধরে দেশে মূল্যস্ফীতি কমছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, গত ৪ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমছে। তবে অত্যন্ত নিম্নহারে।
বাংলাদেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার নভেম্বরে শূন্য দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ হয়েছে। এতে গত তিন মাসে ধারাবাহিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে।বিগত অক্টোবরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।আগস্টে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে গত এক দশকে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয় ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, এখন যে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে, সেটা মূলত আমদানিজনিত কারণে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং সেলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিচ্ছে।