করোনাভাইরাস মহামারিতে লকডাউনের (বিধিনিষেধ) কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিতে যাচ্ছে সরকার। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে কারো নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্তদের ২১ মাসের ছাড় দিতে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
সরকারি চাকরি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়ে দিয়েছেন, সরকারি চাকরি পেতে হলে প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আসতে হবে। ডোপ টেস্টে কেউ যদি পজিটিভ হয়, তবে সে সরকারি চাকরি পাবেন না। শুধু নিয়োগ প্রার্থীরা না, যারা ইতোমধ্যে যোগদান করেছেন আমরা তাদেরও ডোপ টেস্টের আওতায় নিয়ে আসছি।
অবসরের পর বেসরকারি চাকরি কিংবা চুক্তিভিক্তিক চাকরি নেওয়া অথবা বিদেশে যেতে চাইলে সরকারের অনুমতি নেওয়ার দরকার হবে না। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়, যাতে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর এই বিধানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
করোনার কারণে স্থগিত ছিল সরকারি-বেসরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া।
আসন্ন ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সরকারি চাকরির স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সরকারি কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে হবে।