'সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সাইবার নিরাপত্তা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জায়গায় সাইবার নিরাপত্তা আইন করার ব্যাপারে সরকার যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে মৌলিক কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছে না সম্পাদক পরিষদ।
বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। একই সঙ্গে আইনটিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার আহ্বানও জানিয়েছে তারা।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) বাতিলে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তকে সতর্ক সাধুবাদ জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তায় কর্মরত সদস্যদের দক্ষতা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাইবারকে নিরাপদ রাখতে সহযোগিতা করতে পারে।
হ্যাকিংসহ বিভিন্ন অপরাধ ঠেকাতে দেশের ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন খাতে সাইবার নিরাপত্তা বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদ-নদী, পানি ব্যবস্থাপনা, সাইবার সিকিউরিটি, জ্বালানি, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতা জোরদারে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে।
এস্তোনিয়া ভিত্তিক ই-গভর্নেন্স অ্যাকাডেমি ফাউন্ডেশনের করা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচকে ২৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ৫৯ দশমিক ৭৪ নম্বর পেয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিউ) করা আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সূচক-২০২০ এ ২৫ ধাপ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সাইবার নিরাপত্তায় গৃহীত আইনী ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, সাংগঠনিক ব্যবস্থা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় এবারের সূচকে।
জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছে।