চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কদমরসুলপুর এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সীতাকুণ্ড
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভয়াবহ বিস্ফারণের ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনার এক সপ্তাহ পর পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপশি স্থানীয় বাসিন্দাদের শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুনে ৪৮ জনের প্রাণহানির পর এখন জানা যাচ্ছে যে ওই ডিপোসহ সীতাকুণ্ডের শতাধিক কারখানা ও ডিপোর মতো স্থাপনাগুলো ছয় মাস আগেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে পরিদর্শন করেছিল দুটি তদন্ত দল।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপো বিস্ফোরণ ও আগুনের ঘটনায় ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আগুনের ঘটনায় বিএম ডিপোর ৮ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।বুধবার (৮ জুন) বিকেলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনারে ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরো দুটি লাশ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এ তথ্য নিশ্চিত করলেও সরকারিভাবে নতুন করে লাশ উদ্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো দেয়া হয়নি। এদের একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর লাশ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তথ্য সংশোধন করে নিহতের সংখ্যা ৪৯ জনের পরিবর্তে ৪১ বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চমেক হাসপাতাল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ এনামুর রহমান।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের আগুনে নিহতদের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।