বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ফের গোলাগুলির ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সীমান্ত
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য রেখায় ফুল বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের যৌথভাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।
কিছুদিন ধরে বাংলোদেশের নাইক্ষংছড়ি, ঘুমধুম বা তমব্রু সীমান্তের অন্যপাশে মিয়ানমারের ভেতরে যে বিদ্রোহীদের সাথে সামরিক জান্তার যে যুদ্ধ চলছিল, তা এখন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের সীমান্তের অন্যপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদসহ ৩৩০ জনকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে কক্সবাজারে।
সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে আবারও সংঘর্ষের ব্যাপকতা বেড়েছে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকা থেমে থেমে কেঁপে উঠছে। কখন গুলি এসে লাগে, কখন গোলা এসে পড়ে- এমন ভয়ে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দারা দিন কাটাচ্ছেন। তাদের মনে কোনো স্বস্তি নেই। একই পরিস্থিতি বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নেও।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলির আতঙ্কে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া স্থানীয় বাসিন্দারা ফিরেছেন নিজ নিজ গ্রামে।
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বান্দরবান সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র টি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ঘুনধুম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিবর্তে উত্তর ঘুনধুমের দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে।
কক্সবাজারের উখিয়ায় জোয়ারের পানির সঙ্গে নাফ নদী হয়ে খালের ঝিরি দিয়ে মিয়ানমার থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ ভেসে এসেছে। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বালুখালী কাস্টমস এলাকায় লাশটি দেখতে পায় স্থানীয়রা।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে সীমান্তের বেড়িবাঁধের নিচে পড়ে থাকা অজ্ঞাত লাশটি তিনদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার ঘুমধুম-তমব্রু সীমান্ত এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে টানা সংঘাতের পর শুক্রবার উত্তেজনা কমে এসেছে।