স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের জেরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫০০-৬০০ জন ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
হেফাজত
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নুরুল ইসলাম জেহাদী।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতা করে বিক্ষোভে হতাহতের ঘটনার জেরে ডাকা হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলাম।
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকেই হরতাল সমর্থকরা বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে ধারাবাহিক বিক্ষোভে পরপর দুদিন অনন্ত ১০ জন মারা যাওয়ার পর আজ হরতাল পালন করছে হেফাজতে ইসলাম।
হরতালের কোনো প্রভাব নেই ঢাকার রাজপথে। পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী নিহত ও আহত হওয়ার প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ঢাকার রাজ পথে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নন্দনপুর এলাকায় পুলিশ–বিজিবির সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া শহরের কান্দিরপাড়া এলাকায় ছাত্রলীগ ও মাদ্রাসাছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি মাঠে থাকবেন বিজিবি সদস্যরা।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদী বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সরকারের পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলি করে পাঁচজনকে হত্যা করেছে। এর প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে হরতালের কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। এ হরতাল যেকোনো মূল্যে পালন করা হবে।