ওলি আরবি শব্দ। যার অর্থ বন্ধু, অভিভাবক, নৈকট্য অর্জনকারী। ওলির বহুবচন আওলিয়া। কোরআনুল কারিমের একাধিক স্থানে ওলি ও আওলিয়া শব্দের ব্যবহার হয়েছে। তুলে ধরা হয়েছ তাদের পরিচয়।
আল্লাহর
বিসমিল্লাহ পাঠের পর পবিত্র কোরআনের প্রথম আয়াত ‘আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন’। অর্থাৎ আলহামদু লিল্লাহ বাক্যের মাধ্যমেই মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের সূচনা হয়েছে।
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষ নিজ জীবনে আল্লাহর আনুগত্য ও পৃথিবীর বুকে তাঁর আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব করে।
আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও ভালোবাসা অর্জনই মুমিন জীবনের প্রধান লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রধানত যেসব আমলের প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত,
পবিত্র কোরআন ও হাদিসে ঈমানের বহুমুখী কল্যাণ ও সুফলের বিবরণ এসেছে। নিম্নে এমন কিছু সুফল ও পুরস্কারের বর্ণনা তুলে ধরা হলো—
সৃষ্টিজগতের ওপর আল্লাহ তাআলার নিয়ামত এত বেশি যে দুনিয়ার সব মানুষ সমবেতভাবে সেগুলো গুনতে চাইলে তা গুনে শেষ করতে পারবে না।
মহান আল্লাহর দ্বিন প্রচার অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। তা ইহকাল ও পরকালের শান্তি ও সফলতা লাভের অন্যতম মাধ্যম।
সৃষ্টি চলে স্রষ্টার দয়া ও রমহতে। আল্লাহর রহমত ছাড়া কোনো প্রাণীর পক্ষে এক মিনিট বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। আল্লাহর রহমত প্রত্যাশীদের জন্য কোরআন ও হাদিসে বিশেষ দোয়া ও আমলের শিক্ষা রয়েছে।
রমজান আল্লাহর নৈকট্য ও পুণ্য লাভের সর্বোত্তম সময়। কেননা রমজান মাসে আল্লাহ রহমতের দুয়ার খুলে দেন এবং প্রতি নেক কাজের প্রতিদান বহু বৃদ্ধি করেন।
পৃথিবীতে বিদ্যমান সব ধর্ম ও মতবাদের মধ্যে একমাত্র ইসলামেই ‘সৃষ্টিকর্তার’ সহজ ও যুক্তিযুক্ত সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। আমরা ইসলামের অনুসারীরাই কোনো মাধ্যম ছাড়া, কোনো ধরনের তদবির ছাড়া যেকোনো সময় যেকোনো প্রয়োজনে সরাসরি আমাদের ‘সৃষ্টিকর্তার’ কাছে আমাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো পেশ করতে পারি।