ইউক্রেনের বাখমুত শহর থেকে রুশ সমর্থিত ওয়াগনার বাহিনীর সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাহিনীটির পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে।
বাখমুত
আগামী ১ জুনের মধ্যে ইউক্রেনের বাখমুত শহর রুশ সেনাদের কাছে হস্তান্তর করবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান। স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান দেনিস পুশিলিন ইউক্রেনীয় শহর বাখমুত পরিদর্শন করেছেন।
ইউক্রেনের শহর বাখমুত রাশিয়া সমর্থিত সৈন্যরা এখনো দখল করতে পারেনি বলে জোর গলায় দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এর আগে রাশিয়ার ভাড়াটে আধাসামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ দাবি করেছিল, তারা বাখমুত শহর দখল করে নিয়েছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বাখমুত শহর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, তা আর আমাদের হাতে নেই- এমন কথা স্বীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের বাখমুত সম্পূর্ণরূপে দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এ কাজের জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার সৈন্যদের এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপকে অভিনন্দন জানিয়ে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইউক্রেন সোমবার ফ্রন্টলাইন শহর বাখমুতের কাছাকাছি এলাকায় তাদের সৈন্যদের লড়াইয়ের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে এ লড়াইয়ের দৃশ্য ছিল দীর্ঘতম ও ভয়ঙ্কর।
পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্কের আর্টিওমভস্ক শহর যেটি বাখমুত নামে পরিচিত। এর সব প্রশাসনিক ভবন এখন রুশ বাহিনীর হাতে নিয়ন্ত্রিত বলে জানিয়েছেন দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের (ডিপিআর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান ডেনিস পুশিলিন।
দোনবাস অঞ্চলের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাখমুত শহরের অবস্থা এখন নরক, ৭৫ ভাগ রুশ সেনাদের হাতে বলে জানান ওই অঞ্চলের প্রধান নেতা দেনিস পুশিলিন।
বাখমুত শহর দখল নিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার চলমান সংঘাতে কয়েক শ’ নিহত হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকেই নিহতের তথ্য জানানো হয়েছে।
ন্যাটো প্রধান স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত নগরীর নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার বাহিনীর হাতে চলে যেতে পারে।