সুস্থ্য থাকতে নিয়মিত হাঁটুন...

সুস্থ্য থাকতে নিয়মিত হাঁটুন...

নিজের যত্ন নিতে অন্তত সকালে ৩০মিনিট সময় হাতে রাখুন-

আজকালকার দিনে আমাদের দৌড়ঝাঁপ এতো বেড়ে গেছে যে আমরা নিজের জন্যে সময় পাই না। বাড়তি সময় পেলেও হয় সংসার না হয় কাজকে দিয়েই তা শেষ হয়ে যায়। ফলে আমাদের মধ্যেকার সত্বা মরে যাচ্ছে আর আমরা অলস হয়ে পড়ছি। তাই দিনের শেষে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, বিষাদ ঘিরে ধরছে আমাদের। এবার নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের যত্ন নিতে অন্তত সকালে ৩০মিনিট সময় হাতে রাখুন। সেই সময় কোনো ব্যায়াম না করে শুধু হাঁটুন। আপনার বাগানে বা ছাদে বা পাশের পার্কে হাঁটতে পারেন। তবে সকালটা শুরু করুন সবুজ, সতেজতা দিয়ে। তাই প্রকৃতির মধ্যেই হাঁটার চেষ্টা করবেন। কেন হাঁটার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে সেই কারণগুলি লেখা থাকল আপনাদের জন্যেই।

১. নিষ্ক্রিয় থাকার অর্থ শরীরে পেশীর শক্তি কমে যাওয়া। তাই হাঁটলে গোটা শরীরের পেশিগুলি নাড়াচাড়া হয়। বিশেষ অণু মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এর ফলে আমাদের ব্রেনের কোষগুলো বিকশিত হতে পারে।

২. আপনি যখন কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করছেন তখন হতাশ হয়ে এক জায়গায় বসে না থেকে একটু হাঁটাহাঁটি করলে সেটা তাড়াতাড়ি সমাধান হয়। তাই হাঁটা যে আমাদের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করে সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

৩. মানুষের পরিপাকতন্ত্রের জন্য হাঁটার থেকে ভালো ওষুধ আর কিছুতে পাওয়া যায় না। কোষ্ঠকাঠিন্য কাটাতে ওষুধ না খেয়ে আপনি যদি হাঁটতে বের হন, সেটা অনেক ভাল আপনার জন্যে।
 
৪. আমাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিত্বে কতোগুলো বিষয় আছে এবং সক্রিয় থাকার সঙ্গে এগুলোর সম্পর্ক আছে। যেমন অকপটতা, বিবেক দিয়ে পরিচালিত হওয়া, বহির্মুখী হওয়া, কোনো কিছুর ব্যাপারে সম্মত হওয়া ইত্যাদি। পরীক্ষা বলছে যে যারা নিষ্ক্রিয় থাকে তারা কম উদার হয় এবং তাদের স্নায়ু-জনিত অনেক সমস্যাও দেখা দিতে থাকে। সক্রিয় থাকলে এই সমস্যাগুলি হয় না।

৫. বিষণ্ণতার সঙ্গে বসে থাকার সম্পর্কে রয়েছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই দেখা গেছে। তাই হাঁটাহাঁটি করলে শরীরের ব্যায়াম হয়। -কোলকাতা২৪