মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বেশামাল অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্বে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে করোনার নতুন ধরণ সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে মানুষ। বেশ কয়েকটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনো থামানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু।
স্বাস্থ্য
দাপটের সাথে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সংক্রমিত করছে পুরো বিশ্ব। ২০২০ সালের পর আমরা ভেবেছিলাম ভ্যাকসিন এসে গেলেই রেহাই মিলবে এই ভাইরাসের হাত থেকে। কিন্তু তারপর আবার ২০২১ সালেও আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে করোনা।
দেশে চলছে করোনা সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’র। আজ তৃতীয় দিন করোনায় আরও ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ১৮২ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪ হাজার ৪১৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
প্রতি বছর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে জানিয়েছেন মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা। সম্প্রতি সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান বলে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৮৩৯ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৪ জন। এ নিয়ে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৯ লাখ ৯৯ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৩ কোটি ৯৬ লাখেরও বেশি মানুষ।
বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ব্যস্ততা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে স্ট্রেস। আর এর সঙ্গেই পরোক্ষভাবে জড়িয়ে থাকে শারীরিক নানা অসুবিধা। যেমন উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। ডাক্তাররা জানাচ্ছেন স্ট্রেস এবং হাইপারটেনশন থেকেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এর থেকেই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকও হতে পারে যেকারও।
মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বেশামাল অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্বে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে করোনার নতুন ধরণ সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে মানুষ। বেশ কয়েকটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনো থামানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমালোচনা করায় গণমাধ্যম এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম।
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুরো বিশ্ব। টিকার ব্যবহার শুরু হলেও থামছেনা সংক্রমণ এবং মৃত্যুর মিছিল। প্রতিদিনই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে গড়ে ১০ হাজারের উপরে। তবে ভাইরাস বা ফ্লু থেকে বাঁচতে কতই না পদ্ধতি আমরা অনুসরণ করে থাকি। মাস্ক পরা ও শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে বলা হচ্ছে সকলকে, তবুও এটুকু যথেষ্ট না।
মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বেশামাল অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্বে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সাথে করোনার নতুন ধরণ সব মিলিয়ে কঠিন সময় পার করছে মানুষ। বেশ কয়েকটি টিকার অনুমোদন দেওয়া হলেও এখনো থামানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু।
লকডাইন চলাকালিন সময়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অধীনস্থ সকল অধিদপ্তর, দপ্তর, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইসলামী শিক্ষাবিদ এবং যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ বলছে, রমজানের সময়ে রোজা থাকলেও মুসলমানদের টিকা নেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত হবে না।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে থমকে আছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে লাখের বেশি মানুষ আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে কয়েক হাজার মানুষ।