‘সুতোয়’ ঝুলছে রোহিত-কোহলি-গম্ভীরের ভাগ্য!
ছবি: সংগৃহীত
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পুড়েছে ভারত। নিজেদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট হার দেশটির ইতিহাসেই প্রথমবার। একইসঙ্গে নিজেদের দুর্গেও যেন বড় আঘাত দিলো সেই সিরিজ। এরপর থেকে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও কোচ গৌতম গম্ভীরকে কড়া সমালোচনা সইতে হয়েছে। বলা হচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে আসন্ন বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে।
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে পার্থ টেস্ট দিয়ে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজ শুরু হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকার জন্য ভারতের এই সিরিজ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। রোহিত ও কোহলি ব্যাট হাতে সেভাবে বলার মতো কিছু করতে পারেননি কিউইদের বিপক্ষে ধবলধোলাইয়ের সিরিজে। বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতেও তারা ব্যর্থ হলে তাদের লাল বলের ফরম্যাটের দরজা বন্ধ হয়ে যেতে পারে! একইভাবে ফল পক্ষে না এলে চাকরি যেতে পারে কোচ গম্ভীরের।
কিউইদের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে টানা দু’বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ভারতকে। সমীকরণ অনুযায়ী, ফাইনালে উঠতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে পাঁচ ম্যাচের অন্তত চারটিতে জিততে হবে। এই অবস্থায় বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার এবং হেডকোচ গৌতম গম্ভীরকে। সর্বশেষ সিরিজ হারের পর বলা হয়েছিল গম্ভীরের সঙ্গে অজিত আগারকারের একাধিক বিষয়ে মতানৈক্য ঘটেছে। সেরকম ঘটনা যাতে না হয়, সেজন্য গম্ভীরের সঙ্গে আগারকারের সরাসরি সংযোগে জোর দিচ্ছে বোর্ড।
বোর্ডের এক সূত্র সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘ঘরের মাঠে সিরিজ হারায় যে সব মহল থেকেই প্রতিক্রিয়া আসবে, সেটা গম্ভীর-আগারকার দুজনেই জানতেন। যেহেতু এটা লম্বা একটা সফর, তাই আগারকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দলের সঙ্গে থেকে ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য হেড কোচের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীর রোডম্যাপ তৈরি করার জন্য। পুরো ব্যাকআপ তৈরি করার জন্য ন্যূনতম দেড় বছর সময় দিতেই হবে। আর এই পদ্ধতিতে দুজনের দর্শনের সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন।’
তিনি আরও জানান, ‘রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এই চার অভিজ্ঞ ক্রিকেটারই ক্যারিয়ারের শেষদিকে। তারা সবাই এখনও দলের অপরিহার্য অংশ। তবে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতেই পারে। নির্বাচক এবং কোচেদের দর্শন সম্পর্কে তাদের অবহিত করে রাখা হবে। আগামী দু’বছরের মধ্যেই পরবর্তী ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বৃত্তে তাদের ভূমিকা কেমন হবে, সেই সম্পর্কেও তাদের মতামত নেওয়া হবে।’
২২ নভেম্বর পার্থে শুরু হবে রোমাঞ্চকর এই সিরিজ। দ্বিতীয় টেস্ট হবে ৬ ডিসেম্বর। এখনও নিশ্চয়তা না পেলেও এডিলেইডের সেই ম্যাচ দিয়ে রোহিত শর্মাকে পাওয়ার আশা রয়েছে ভারতের। পিতৃত্ব-জনিত কারণে তিনি প্রথম টেস্টে ছুটিতে আছেন। এরপর ১৪ ডিসেম্বর ব্রিসবেন, ২৬ ডিসেম্বর মেলবোর্ন এবং ৩ জানুয়ারি সিডনি টেস্ট দিয়ে এই ম্যারাথন সিরিজ শেষ হবে।