স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ককে ‘ধর্ষণ’ গণ্য করতে আইনি নোটিশ

স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া যৌন সম্পর্ককে ‘ধর্ষণ’ গণ্য করতে আইনি নোটিশ

ফাইল ছবি

স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া কোনো স্বামী যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে সেটাকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ ‘ম্যারিটাল রেপ’ হিসেবে গণ্য করে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে আইনের সংশোধনী চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

দেশে আইনের স্বচ্ছতা ও সর্বজনীনতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আজ রবিবার (১ নভেম্বর) এক নারী সাংবাদিকের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জাহিদ চৌধুরী জনি।

নোটিশটি পাঠানো হয়েছে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ল কমিশনের চেয়ারম্যান, ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন অব  বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের ডিজি এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজিকে।

নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এতে। 

গবেষণায় তথ্য উঠে এসেছে, এ বছর দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২৭ জেলাতেই বৈবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। জাতিসঙ্ঘ হিউম্যান রাইটস কমিশন ১৯৯৩ সালে বৈবাহিক ধর্ষণ, অর্থাৎ ম্যারিটাল রেপকে মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি দেশের বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করে আইন রয়েছে। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বাংলাদেশে বৈবাহিক ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আইনি বা শাস্তির কথা উল্লেখ নেই।

দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বৈবাহিক সম্পর্ক নেই এমন কোনো ব্যক্তি ধর্ষণ করলে তার শাস্তির বিধান থাকলেও পারিবারিক নির্যাতনের মাধ্যমে যে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন, তাদের জন্য আইনের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইন সংশোধন এখন সময়ের দাবি বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।