ঠাণ্ডা লাগলে চার ধরণের খাবার খাওয়াবেন না শিশুকে

ঠাণ্ডা লাগলে চার ধরণের খাবার খাওয়াবেন না শিশুকে

শীতের মৌসুমে শিশুদের খাবারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। দিনে গরম রাতে শীত। শরীরেও শুষ্কতা অনুভব করা যাচ্ছে। এই সময় সাবধান থাকা আগে যতটা না প্রয়োজন ছিল, তার থেকেই বেশি প্রয়োজন এই করোনা সময়ে। বিশেষ করে আপনার বাড়ির শিশুদের ক্ষেত্রে। এই সময় বাচ্চাদের বেশি ঠান্ডা লাগে। তাই সাবধান থাকা আবশ্যক। সবেচেয়ে বেশি খেয়াল রাখবেন খাবারের ক্ষেত্রে। কারণ তার উপরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে। ঠাণ্ডা লাগলে শিশুকে কয়েকটি খাবার দেওয়া থেকে বিরত রাখবেন।

১) মাংস– ঠাণ্ডা লাগলে শিশুকে যত কম মাংস খেতে না দেওয়াই ভালো। কারণ মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যাতে গলার ভিতরে মিউকাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে শিশুর অস্বস্তি বাড়বে। আর ভবিষ্যতে অসুস্থতা বাড়তে পারে।

২) মিষ্টি জাতীয় খাদ্য- চকোলেট, ক্যান্ডি, মিষ্টি আপনার শিশুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বিশেষ করে ঠাণ্ডার সময়। বেশি মিষ্টি রক্তে হোয়াইট ব্লাড সেলস তৈরির গতি কমিয়ে দেয়। এর ফলে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে। 

৩) প্যাকেটজাত খাদ্য – অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্সের কারনে এখন সাবর ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, নাগেটস, সসেজের মতো রেডিমেড প্যাকেটজাত খাবার। শিশু যত এই ধরনের খাবার বেশি খাবে ততই গলায় মিউকাস তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে এবং সালাইভা গাঢ় হতে থাকবে।

৪) দুগ্ধজাত খাবার – দুধ এমনিতে উপকারী কিন্তু সবার ক্ষেত্রে নয়, আর সবসময় নয়। শীতের সময় শিশুর খাবারে চিজ, ক্রিম বন্ধ করে দিন। তেমন হলে দুধের পরিমাণও কমিয়ে দিন। মৌসুমী শাকসবজি ও ফল খাওয়ান বেশি করে। বিশেষ করে এমন খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে। এতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।