পাবনায় ৫.৯২ একর জমির ফসল কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

পাবনায় ৫.৯২ একর জমির ফসল কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

জমিতে রোপন করা সমস্ত কলাগাছ কেটে নষ্ট করে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর ভবানীপুর এলাকায় ৫.৯২ একর জমির কলা গাছ ও অন্যান্য ফসল কেটে ধ্বংস করেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সন্ত্রাসীরা। তবে দখলদার পাবনা আওয়ামীলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বারী বাকী এবং হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) আলাউদ্দিন মালিথা দাবি করেছেন যে কৃষকরা এই জমির অবৈধ দখলদার।

শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের একজন মোঃ জামাল প্রামানিক এ ব্যাপারে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ  ইবনে মিজান’র নেতেৃত্বে পুলিশের একটি তদন্ত টিম তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়েছেন বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম(অপরাধ) জানান।

চর ভবানীপুর গ্রামের কৃষকরা জানিয়েছেনন, তারা চর এলাকার জমি আগের মালিকদের কাছ থেকে কিনেছেন। তারা প্রতি বছর জমির জন্য খাজনা (কর) দিচ্ছেন। জমির কর পরিশোধের প্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষকরা সাংবাদিকদের সেই রসিদ দেখিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ তিন কৃষক হলেন-চরভবানীপুর গ্রামের জামাল প্রামানিক,মহসিন মালিথা এবং বারিক মালিথা। তাদে অভিযোগ, তাদের মালিকানাধীন চরভবানীপুর পদ্মা চরের ৪০৫১ ও৪২০৭ দাগের প্রায় ৫.৯২ একর জমির কলাক্ষেত কেটে নষ্ট করে দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান দাবি করেছেন যে এটি তাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমি। জামাল প্রামানিক জানান, গত ছয় দশক ধরে কৃষকরা জমিতে চাষাবাদ করছেন। তারা প্রতি বছর সরকারকে জমির জন্য কর দিয়ে আসছেন। তারা ইতোমধ্যে চলতি বছরের খাজনা দিয়েছে বলে তিনি জানান। গ্রামের কয়েকজন কৃষক এ বছর ৫.৯২ একর জমিতে কলার গাছ এবং মাসকলাই (শীতের ফসল) চাষ করেছেন। জামাল অভিযোগ করেন, প্রভাবশালী দখলদারদের সহায়তায় একদল অপরাধী জমিতে তিন লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি করেছে। যোগাযোগ করা হলে আ.লীগ নেতা ফসলের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

বাকী বলেন, "আমরা ফসলের ক্ষতি করিনি। বরং একদল কৃষক জমিতে অবৈধভাবে ফসলের চাষ করছেন। কারণ এই জমিটি আমাদের উত্তরাধিকারী সম্পত্তি।" ইউপি চেয়ারম্যান বলেছেন, এটি একটি বিতর্কিত জমি। তিনি আরও জানান, কৃষকরা জমির অবৈধ দখলদার। তারা এই জমির মালিক নয়; তবে তারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে ফসল চাষ করছে।

এদিকে, আ.লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান  সোমবার (০৯ নভেম্বর ) পাবনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন যে, ভুল করে জমির রেকর্ড পাওয়ার কারণে কৃষকরা প্রতি বছর জমির জন্য কর দিচ্ছেন। এ বিষয়ে একটি ভূমি রেকর্ড সংশোধন মামলা দায়ে করা হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা।