করোনা নিষেধাজ্ঞা ভাঙলেই ফায়ার স্কোয়াডের সামনে পড়তে হবে

করোনা নিষেধাজ্ঞা ভাঙলেই ফায়ার স্কোয়াডের সামনে পড়তে হবে

ফাইল ছবি।

করোনা বিধিনিষেধ কঠোরভাবে জারি করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করলেই কড়া শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। রেডিও ফ্রি এশিয়া জানিয়েছে নিয়ম ভাঙলেই অভিযুক্তকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে।

সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর ২৮শে নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিককে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়েছে বন্ধ থাকা সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান করার চেষ্টার কারণে। জানা গেছে ওই ব্যক্তি নিজের বিজনেস পার্টনারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁর বিজনেস পার্টনার চীনের নাগরিক। প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর কোরিয়ার অন্যান্য নাগরিকদের মধ্যে।

সূত্রের খবর উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের ভয় দেখাতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে কোয়ারেন্টাইন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য চীনের সঙ্গে ৮৮০ মাইল সীমান্ত জুড়ে রয়েছে উত্তর কোরিয়ার। করোনা ছড়ানোর শুরু থেকেই সেই সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের পর্যটকদের মধ্যে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

যদিও উত্তর কোরিয়ায় কোনও করোনা আক্রান্ত নেই বলে দাবি শাসক কিম জং উনের। তিনি জানিয়ে ছিলেন দেশে কোনও করোনা আক্রান্ত নেই, এজন্য ধন্যবাদ দেশের মানুষকে। উত্তর কোরিয়ার মত কোনও দেশ এই সাফল্য দেখাতে পারেনি। তবে পরে কিম জানান, চীন থেকে হলুদ ধুলো ছড়ানো হচ্ছে। এই হলুদ ধুলোর পরিমাণ এত বেশি যে তা ঝড়ের আকার নিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই মর্মে জনগণকে সতর্ক করা হয়। বলা হয় এই হলুদ ধুলোর ঝড় করোনা সংক্রমণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

কিমের এই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। কিম সরকার জানায়, যদি একান্ত প্রয়োজনে মানুষকে রাস্তায় বেরোতেই হয়, তবে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। করোনা উত্তর কোরিয়ায় নেই দাবি জানুয়ারি মাস থেকেই নিজেদের সীমান্ত অন্য দেশের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।