স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর, ৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর, ৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা

ফাইল ছবি

৩০ জানুয়ারি পাবনা পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা মিছিল করারর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুরকে কেন্দ্র করে চরম উত্তজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে পুরো শহরের  দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। শহরবসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।

রাত আটটার দিকে হাসপাতালের রোডে একটি মিছিল চলাকালীন পৌরসভার শালগাড়ীয়া এলাকায় আ’লীগের একদল লোক বিদ্রোহী প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধানের প্রচার কার্যালয়ে হামলা চালালে এই উত্তেজনা শুরু হয়।

এই হামলার প্রতিবাদ করে শরিফের লোকেরা পরে তাদের প্রধান নির্বাচনী অফিস বীণা বাণী মোড় থেকে একটি মিছিল বের করে। এদিকে এলাকায় মোতায়েন করা অতিরিক্ত পুলিশ মিছিলটি থামিয়ে দেয়।

এর আগে আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল সন্ধ্যায় স্বাধীনতা চত্তরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলী মনোনীত প্রার্থী আ লী মর্তুজা বিশ্বাস সনির নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে।

নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করবেন এমন আ’লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দেন তিনি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম আহমেদ জানান, উভয় গ্রুপ একে অপরকে ধাওযা ও পাল্টা ধাওয়ার চেষ্টা করায় এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তিনি বলেন, যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌরসভার প্রতিটি মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি আসন্ন পাবনা পৌরসভা নির্বাচনের আ’লীগের টিকিট  পেয়েছেন এবং পাবনা জেলা শাখা যুবলীগের প্রাক্তন সভাপতি শরিফ উদ্দিন প্রধান বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
পাবনার সিনিয়র আ’লীগের বেশিরভাগ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী শরিফকে সমর্থন করেছেন।