৩৯ স্ত্রী ৯৪ সন্তান, বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় পরিবার’ প্রধানের মৃত্যু

৩৯ স্ত্রী ৯৪ সন্তান, বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় পরিবার’ প্রধানের মৃত্যু

৩৯ স্ত্রী ৯৪ সন্তান, বিশ্বের ‘সবচেয়ে বড় পরিবার’ প্রধানের মৃত্যু

বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের প্রধান ছিলেন তিনি। ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন পুত্রবধূ, ৩৩ জন নাতি ও ১ জন পুতি। মোট ১৮১ জন সদস্যের পরিবারের প্রধান সেই জিওনা চানা রবিবার মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা এদিন ট্যুইটারে এই খবর শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, 'এই পরিবারের বাসস্থল বাকতঙ্গ পর্যটনের আকর্ষণ এই পরিবারের জন্য।'

ট্যুইটারের শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, 'গভীর শোকের সঙ্গে মিজোরাম বিদায় জানাচ্ছে মিস্টার জিওন (৭৬)-কে। মনে করা হয়, তাঁর পরিবারই বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবার। তাঁর ৩৮ জন স্ত্রী, ৮৯ জন সন্তান রয়েছে। মিজোরাম ও তাঁর গ্রাম বাকতঙ্গ পর্যটনের বিশাল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে তাঁর এই পরিবারের জন্য। আপনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'

আইজলের ট্রিনিটি হাসপাতালে এদিন বিকেল ৩ টেয় মারা গেছেন জিওনা চানা। তাঁর ডায়েবিটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ছিল। ১৯৪৫ সালের ২১ জুলাই তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর চেয়ে ৩ বছরের বড় তাঁর প্রথম স্ত্রী। ১৭ বছর বয়সে তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল বলে জানা যায়।

১৮১ জনের এই পরিবারে, মহিলাদের বেশিরভাগ সময়ই রান্নাঘরে কাটে। এবং এই পরিবারের বেশিরভাগ অর্থ তাঁদের খাওয়ার পেছনেই খরচ হয়। এই পরিবারে প্রতিদিন প্রায় এক কুইন্টাল ডাল ও চালের রান্না করা হয়। এই পরিবারটি একদিনে প্রায় ৪০ কেজি মুরগির মাংস খায়। আগে তাঁরা সবাই নিরামিষ খাবার রান্না খেত। তবে তাঁরা বাজার থেকে শাকসবজি কিনে এনে অর্থ ব্যয় করতেন না। এই পরিবারটি নিজেরাই বাড়ির বাগানেই পালংশাক, বাঁধাকপি, সরিষা, মরিচ এবং ব্রোকলি ইত্যাদির চাষ করতেন।

করোনার কালবেলার আগে পরিবারের সদস্যরা শাকসবজি এবং হাঁস-মুরগি থেকে উপার্জন করতেন। কিন্তু লকডাউনে সেই উপায় ছিল না। পরিবারটি তাঁদের প্রিয়জনের কাছ থেকে অনুদান পায়। জিওনা চানা কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সেখানে অনেক লোক আছে যারা তাঁকে ভালোবাসে এবং তাঁরা তাঁকে অনুদানও দেন। সেই দিয়েই তাঁদের সংসার চলছিল।