কোরবানীকে সামনে রেখে বিপাকে খামারীরা

কোরবানীকে সামনে রেখে বিপাকে খামারীরা

কোরবানীকে সামনে রেখে বিপাকে খামারীরা-

তামান্না ফারজানা, যশোর: কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরু পরিচর্যা করে হাটের জন্য প্রস্তৃত করার পরে করোনা সংক্রমণের কারনে শার্শার বাগ আঁচড়ায় বৃহত্তম পশুর  হাটটি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছের এলাকার খামারী ও গরু ব্যবসায়ীরা। ফলে তারা চরম লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশংকা করছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত হাট চালু করার দাবি তাদের। তবে সরকারী নির্দেশনা পেলে হাটটি চালু হতে পারে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ দেশে আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের সীমান্তর্বর্তী কয়েকটি জেলার গরুহাট বন্ধ করা হলেও স্বাস্থ্য বিধি শতভাগ মেনে চলবে এ শর্তে জেলার শার্শা উপজেলার সাতমাইল হাট পরিচালনার অনুমতি বহাল রাখে প্রশাসন। কিন্তু হাটে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতির ফলে কোন ভাবে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা সম্ভব হচ্ছিল না। সম্প্রতি চরম ভাবে সীমান্তে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অবশেষে স্বাস্থ্য বিধি রক্ষা করতে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সাতমাইল পশুর হাট আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।ফলে গত ২৪ তারিখ থেকে এই হাট বন্ধ রয়েছে।

হাটটি যদি না খোলা হয তবে বড় অংকের লোকশান গুনতে হবে বাজার কমিটির সদস্য,গরু ব্যবসাযী ও খামারীরা জানান।  তাই
কুরবাণীর ঈদকে সামনে করে হাটটি খোলার দাবি তাদের।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া ইউনিয়নে সাতমাইল পশুহাটটি যশোর জেলায় করোনা বিধি নিষেধ থাকার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীতে জেলাব্যাপী যে বিধি নিষেধ আরোপ করা হবে সেখানে যদি কোন সরকারী নির্দেশনা থাকে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে পশুর হাট খোলা রাখা যায় সে ব্যাপারে নির্দেশনা পেয়েছি। যেহেতু সামনে কুরবাণীর ঈদ সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারী যে বিধি নিষেধ আছে সেভাবে সীমিত পরিসরে সরকার নির্দেশনা দিলে পশুর হাট খোলা হতে পারে।