১০৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

১০৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

১০৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

প্রথম তিন ওভারে রান ২২। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে এলো ৩০ রান। বড় স্কোরের আভাস ছিল। কিন্তু তা আর হলো কই। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শণীতে পরের ১৪ ওভারে বাংলাদেশ করতে পারলো ৭৪ রান। সব মিলিয়ে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১০৪ রান। পাচ ম্যাচের সিরিজে প্রথমবারের জিততে অস্ট্রেলিয়ার চাই ১০৫ রান।

টস জিতে ব্যাট রকতে নেমে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে শুরুটা ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সৌম্য সরকার। ধারাবাহিক ব্যর্থতার বৃত্তে তিনি আছে। এদিন মনে হচ্ছিল ইনিংসটা বড় হবে তার। কিন্তু হেজলউডের বলে কেরি তালুবন্দী বাংলাদেশ ওপেনার। ১০ বলে এক ছক্কায় ৮ রান করে ফেরেন তিনি।

নাঈমকে সাথে নিয়ে এরপর হাল ধরেন সাকিব আল হাসান। তবে রানের গতি ছিল কম। অনেকটা টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকেন তিনি। তারপরও থিতু হতে পারেননি তিনি। হেজলউডের কাটারের শিকার তিনি। ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে ওয়েডের গ্লাভসে। ২৬ বলে ১৫ রান করেন সাকিব। তার ইনিংসে চিল একটি চারের মার।

সিরিজ জয়ের ম্যাচে ফিফটি করা বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হন এর পরের ওভারে। সোয়েপসনের বলে এলবির শিকার তিনি। তিন বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। পরের বলে নুতন ব্যাটসম্যান সোহানও এলবির শিকার। পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। যদিও আম্পায়ার প্রথমে আঙুল তোলেনি। রিভিউ নেয় অস্ট্রেলিয়া। তাতে সফল সফরকারীরা। তিন রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে তখন বাংলাদেশ।

এই চাপ আর সামাল দিতে পারেনি স্বাগতিকরা। রান তোলার তাগিদে দ্রুত উইকেট হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহরা। চারজন ব্যাটসম্যান ছুতে পেরেছে দুই অঙ্কের রান। বাকিরা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যে।

মিডল অর্ডারে আফিফ-শামিমের দিকে সবাই তাকিয়ে ছিল। ১৭ বলে আফিফ করেন ২০ রান। শামীম ৬ বলে করেন তিন রান। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটা আসে ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাটে। সোয়েপসনের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ৩৬ বলে ২৮ রান। তার ইনিংসে ছিল দুটি চারের মার। বাংলাদেশের ইনিংসে ছক্কা তিনটি। হাঁকিয়েছেন সৌম্য, আফিফ ও মেহেদী।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দারুণ করেছেন মিচেল সোয়েপসন। ৪ ওভারে ১২ রানে তিনি নেন তিন উইকেট। তিন ওভারে ১৮ রানে তিন উইকেট নেন টাই। হেজলউড দুটি ও অ্যাগার পান একটি করে উইকেট।