হল খোলার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

হল খোলার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

হল খোলার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে ইবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

আবাসিক হল খুলে দিতে ও পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিতের দাবিতে ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তাঁরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। অবস্থানকারীদের কয়েকজন পরীক্ষা দিতে এসে মেসে সিট না পেয়ে কাঁথা-কম্বল নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন।

তাঁদের দাবি, আবাসিক হল বন্ধ রেখে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় শিক্ষার্থীদেরকে চরম আবাসন সংকটে পড়তে হয়েছে। কিন্তু  বিশ্ববিদ্যালয়  প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এ দূর্ভোগ থেকে উদ্ধার করতে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উল্টো আবাসিক হল খোলার ব্যাপারে গড়িমসি করছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল খোলার তারিখ ঘোষণা করলেও ইবি প্রশাসন এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ জন্য প্রশাসনের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতার অভাবকে দায়ী করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাঁরা হল খোলার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

পরে বেলা পাঁচটায় আন্দোলকারীদের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে দেখা করেন। এ সময় তাঁরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। প্রক্টর বিষয়টি নিয়ে উপাচার্যের সাথে কথা বলে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রক্টর বলেন, আমি উপাচার্য স্যারকে দাবিগুলো জানাবো। আগামী ৪ অক্টোবর একাডেমিক কমিটির মিটিং আছে। সেখানে হল খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।

কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিভাগ থেকে পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় আমি ক্যাম্পাস এলাকায় এসেছি। কিন্তু এখনো ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী এলাকায় কোনো মেসে সিট পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমার আবাসন নিশ্চিতের দাবি নিয়ে কর্মসূচিতে এসেছি। পরীক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দিলেও এমন দূর্ভোগ পোহাতে হতো না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদেরকে কৃত্রিমভাবে সমস্যায় ফেলে রেখেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২২টি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা চলছে। আবাসিক হল বন্ধ থাকায় আবাসন সংকটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী এলাকায় পর্যাপ্ত মেস-বাসা না থাকায় এ সমস্যা আরো প্রক্ট হয়েছে। প্রথমে আসা শিক্ষার্থীরা মেসগুলোতে সিট পেলেও নতুন করে যাদের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে তাঁরা মেসে সিট খুঁজে পাচ্ছেন না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে হল খোলার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা না করায় আগামী মাসের মাঝামাঝি বা শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া শিক্ষার্থীরাও মেসে সিট নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস এলাকায় আসছেন। ফলে আবাসন সংকট দিনদিন বাড়ছে। এর আগে গত রবিবার একই দাবিতে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা ভেবেই আগামী ৪ অক্টোবর একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব হলগুলো খুলে দেওয়া যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’