কবরস্থানে তালা দিয়ে দাফনে বাধা, পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন

দুই গ্রামবাসীর দ্বন্দ্বে কবরস্থানে তালা দিয়ে মৃতদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের  ভেড়ামারা ও চরপাড়া গ্রামের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব। এ কারণে  ভেড়ামারা গ্রামের বাসিন্দারা কবরস্থানে তালা দিয়ে চরপাড়া গ্রামের মানুষের মৃতদেহ দাফনে বাধা দেয়।  রোববার রাতে এক নবজাতকের মৃতদেহ দাফনে বাধা দিলে এলাকাবাসী থানা প্রশাসন ও জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই নবজাতকের মৃতদহ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভেড়ামারা-চরপাড়া কবরস্থানের পাশে ৬-৭ বছর আগে একটি এতিমখানা মাদরাসা নির্মাণ করা হয়। এই মাদরাসায় ১০ শতক জমি মৌখিকভাবে দান করেন চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। তবে কিছুদিন আগে জমিদাতা ওই জমি চরপাড়া গ্রামের ঈদগাহ মাঠের নামে আবার রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। একপর্যায়ে গত সপ্তাহে ভেড়ামারা গ্রামের বাসিন্দারা কবরস্থানের মূল ফটকে তালা দিয়ে দেয়। এ অবস্থায় চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলামের সন্তান  রোববার বিকেলে মারা যায়। পরে গ্রামের বাসিন্দারা নবজাতককে দাফন করতে গেলে ভেড়ামারা গ্রামের লোকজন কবরস্থানে তালা দিয়ে নবজাতকের পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়। এতে নিরুপায় হয়ে চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা থানা ও জরুরী সেবার ৯৯৯-এ কল করে অবগত করেন। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নবজাতকের মৃতদহ দাফন সম্পন্ন করে।

কবরস্থানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সামাদ খাঁ বলেন, কবরস্থান সংলগ্ন এতিমখানার জমি নিয়ে বিরোধের কারণে মৃতদহ দাফনে বাধা দিয়েছিল গ্রামের সাধারণ মানুষ। তবে থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিষয়টি আপাতত সমাধান হয়েছে।

পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেদায়েতুল হক বলেন, এতিমখানার জমির বিরোধ নিয়ে ভেড়ামারা গ্রামের উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছেলে কবরস্থানে তালা দিয়ে মৃতদেহ দাফনে বাধা দিয়েছিল। পরে বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া করা হয়েছে।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, মৃতদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার বিষয়টি থানা প্রশাসন জানার পরপরই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া লক্ষ্য রাখা হচ্ছে কবরস্থানে আর যাতে কোন সমস্যা না হয়।