সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের

সংস্কারের অভাবে বেহাল হয়ে পড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা পৌনে আটটা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখেন। এতে দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দুই জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, অবরোধ চলাকালে পুলিশ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। ফলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি অস্বীকার করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকরাও একাত্মতা ষোষণা করে অবরোধে অংশ নেন বলে জানা গেছে।

শিক্ষার্থীরা সড়কে ইট, বাঁশ ফেলে অবরোধ অব্যাহত রাখেন। তারা পুলিশকে ক্ষমা চাওয়ার শর্ত দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের প্রতিনিধি দল নিয়ে প্রক্টর অফিসে আলোচনায় বসে প্রক্টরিয়াল বডি। সেখানে পুলিশ সদস্যরা শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। এ সময় প্রক্টরিয়াল বডি পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সাথে সড়ক সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

এর আগে, বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটলের সামনে এসে অবরোধে মিলিত হয়।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জি কে সাদিক বলেন, ‘আমাদের সকলের দাবি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক দ্রুত সংস্কার করা হোক। এই রাস্তায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। আগামী ২৫ অক্টোবর আমাদের ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হবে। এতে করে শিক্ষার্থীরা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।’

অবরোধে আটকে থাকা গাড়ি চালক জামিল রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। এই রাস্তায় চলাচলের ফলে আমাদের গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। গাড়ি সারাতেও অনেক টাকা খরচ হয়। অতি দ্রুত এই সড়ক সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। আমারাও সড়কটির দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের সাথে সড়ক সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।'