কোথায় নির্মান করা হবে মুসলমানদের মসজিদ

কোথায় নির্মান করা হবে মুসলমানদের মসজিদ

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিমদের জন্য মসজিদ নির্মাণের জন্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিত ৫ একর জমির প্লট ঐতিহাসিক রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ কমপ্লেক্সের দৃষ্টিসীমার মধ্যে পাওয়া যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থাপনার স্থান হিন্দুদের অনুকূলে দিয়ে রায়ে বলেছে, মুসলিমদের একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমি দান করতে। তবে ওই শহরের সরকারি কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, অযোধ্যা ঘন বসতিপূর্ণ একটি শহর। সেখানে এত বিশাল আকারের এক খন্ড খালি জমি পাওয়া কঠিন। ফলে তাদেরকে যে জমি বরাদ্দ দেয়া হবে তা ওই বাবরি মসজিদের স্থান থেকে দৃষ্টিসীমার মধ্যে না-ও হতে পারে। অথবা সরযূ নদীর এক্ই পাশে নাও হতে পারে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

একটি সূত্র বলেছেন, অযোধ্যা শহর হলো বর্তমানে নব সৃষ্ট জেলার প্রধান কার্যালয়।

এই জেলাটি অযোধ্যা নামেই পরিচিত। এখানে রয়েছে বিপুল সংখ্যক মানুষের বাস। তার ওপর মন্দির ক্যাম্প নামে পরিচিত বডি অব্যাহতভাবে বলে আসছে যে, ধ্বংস করে দেয়া বাবরি মসজিদ শাস্ত্রীয় পরিধির বাইরে অথবা রাম জন্মভূমির ১১৫ কিলোমিটারের মধ্যে হতে পারবে না। একটি সূত্র বলেছেন, আদালত উল্লেখ করেছে যে, অযোধ্যায় একটি অভিজাত বা ভাল এলাকায় মুসলিমদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে। তবে আদালত সুনির্দিষ্ট কোনো স্থানের নাম উল্লেখ করে নি। ফলে অযোধ্যা-ফয়জাবাদ রোডের পাশে কোনো স্থানে এই জমি বরাদ্দ করার সম্ভাবনা আছে। এমনটাও বলাবলি হচ্ছে যে, ওই মসজিদটি নির্মাণ করা হতে পারে শাহজানওয়া গ্রামে। এই গ্রামেই রয়েছে সম্রাট বাবরের কমান্ডার মীর বাকি’র সমাধি। তিনিই রাম মন্দির ধ্বংস করে সেখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করতেন বলে অভিযোগ আছে। কিন্তু ওই গ্রামটি ১৫ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের বৃত্তের মধ্যে।

আদালত আরো বলেছেন, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের সহযোগিতায় বিকল্প স্থানেও জমি দেখা যেতে পারে। কিন্তু সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ধ্বংস করে দেয়া বাবরি মসজিদের বিনিময়ে কোনো জমি চায় না। অযোধ্যা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের করপোরেটর হাজী আসাদ আহমদ বলেছেন, বাবরি মসজিদের বিনিময়ে আমরা কোনো জমি চাই না। যদি আদালত বা সরকার মসজিদের জন্য জমি দিতে চায় তাহলে আমাদেরকে ৬৭ একর এলাকা অ্যাকুয়ার করতে দিতে হবে, অন্যথায় আমরা কোনো অনুদান চাই না। স্থানীয় ধর্মীয় নেতা মাওলানা জালাল আশরাফ বলেছেন, মুসলিমরাই মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি কিনবে। তাদেরকে সরকারের ওপর নির্ভর করতে হবে না।