সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধ: কুবির ৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ

সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধ: কুবির ৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ

ফাইল ছবি

কুবি প্রতিনিধিঃ সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্ধের জেরে জুনিয়র শিক্ষার্থীর ফেসবুকে পোস্ট ও পাল্টা পোস্টে ঘুমের ঔষুধ খেয়ে এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার চেষ্টা করার ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বিষয়টি জানানো হয় এবং আগামীকাল সকাল ৯টায় অভিযুক্তদের লিখিত বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে। নোটিশ সূত্রে জানা যায়, শোকজ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের এক শিক্ষার্থী, পোস্টের জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানো ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ বর্ষের এক শিক্ষার্থী ও একই ব্যাচের আরও দুই শিক্ষার্থী।

 প্রক্টরিয়াল বডি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এক ছাত্রীনিবাসে গেস্ট আনাকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র দুই শিক্ষার্থীর মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় সিনিয়র ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজনের কর্মীকে ডেকে নিয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীকে শাসায়। পরে জুনিয়র শিক্ষার্থী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে ডেকে নেয়।

এসময় দুই পক্ষই তর্কে জড়িয়ে পড়লে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ। তবে রাত ১১টার দিকে জুনিয়র ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিরাপত্তা শঙ্কায় ভুগছেন দাবি করে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্ট করেন। এরপরেই সিনিয়র ১৩ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে পাল্টা একটি পোস্ট করে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এ ঘটনায় দুই পক্ষই প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিলে সহকারী প্রক্টর ড. জান্নাতুল ফেরদৌসকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত শেষে এ ঘটনায় জড়িত সকলকে মৌখিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে ৪ জন শিক্ষার্থীকে কারণ কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত না থাকায় অন্যদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান ড. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনাকে তারা একটি বড় আকার দিয়েছে। তদন্তে আমরা ৪ জন শিক্ষার্থীর সরাসরি এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার সত্যতা পেয়েছি ।

প্রক্টর বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি আমরা। যার প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪ জন শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছি। তাদের চারজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল সকালের মধ্যে লিখিত দিবেন তারা। তিনি আরো বলেন, এখানে কয়েকজন ছাত্রের নাম এসেছে। কিন্তু তারা ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত না