ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে প্রতিশোধ!

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে প্রতিশোধ!

ঈশ্বরদীতে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার নেপথ্যে প্রতিশোধ!

পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ার ব্যবসায়ী রানাউর রহমান রানা’র বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন সুমন আলী। গৃহকর্তা রানা কাজ করা নিয়ে সুমনকে গালিগালাজ করেছিলেন। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে তাকে হত্যা করতে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে রামদা হাতে তিন তলায় রানার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন সুমন। কিন্তু রানার পরিবর্তে ওইদিন তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রী শারমিন শিলাকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরদী পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত সুমন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে কাজ করার সময় তাকে কথায় কথায় অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ ও চরমভাবে অপমান করতেন রানা। এর প্রতিশোধ নিতে তিনি রানার বাড়িতে যান। কিন্তু ঘটনার সময় তার স্ত্রী সামনে চলে আসায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত সুমন জানিয়েছেন, তিনি আসলে গৃহবধূ শিলাকে হত্যা করতে চাননি, হত্যা করতে  চেয়েছিলেন তার স্বামী রানাকে।

ওসি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধু শারমিন শিলাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার পর তিনতলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন সুমন আলী। এখনও পুলিশি পাহারায় পাবনা  জেনারেল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন তিনি।

এদিকে, এ ঘটনায় নিহত শারমিন শিলার বড় ভাই জুয়েল রানা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে গ্রেপ্তার সুমন আলীকে।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলার একমাত্র আসামি গ্রেপ্তার রয়েছে, সে সুস্থ হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।

নিহত গৃহবধূ পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শিলার স্বামী রানা গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন তার হাতের একটি অংশ অস্ত্রোপচার করে কেটে ফেলা হতে পারে।

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজমিস্ত্রী সুমন আলী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মুনশিদপুর গ্রামে দাশুড়িয়া হাইস্কুলের পেছনে ব্যবসায়ী রানাউর রহমানের বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা শারমীন শিলাকে কুপিয়ে হত্যা করে সুমন।