ফুচকা-চটপট্টি বিক্রি করে সাবলম্বী চার ভাই-বোন

ফুচকা-চটপট্টি বিক্রি করে সাবলম্বী চার ভাই-বোন

চার ভাই-বোনের ফুচকা-চটপট্টির দোকান

টি আই তারেক, যশোর: শহরের ব্যস্ততম এলাকা প্রাণ কেন্দ্র দড়াটানা মোড়। বিকেল থেকে মোড়ে ভৈরব নদ তীরবর্তি প্লাস্টিকের টুল এবং কাঠের তৈরি ভ্যানের উপর নির্মিত দোকানের পসরা বসে। এসব দোকানে বিক্রি হচ্ছে মুখরোচক ফুচকা-চটপট্টি, সিদ্ধ ডিম, ভাজা বাদাম, পিঠা, ভুনাছোলাসহ বিভিন্ন রকম খাবার।

এই মোড়ের আসলু ভাইয়ের স্পেশাল চটপট্টি ও মামা ফুচকার দোকানটি শহরের ঘোপ এলাকার চার ভাই-বোনের। ভাই নুর ইসলাম এবং নুর আসলামকে ফুচকা-চটপট্টি বিক্রিতে সহযোগিতা করছেন তাদের দুই বোন আকলিমা এবং হালিমা। নুর আসলামকে আদর করে আসলু বলে ডাকে সবাই। তাই দোকানের নামকরণ করা হয়েছে আসলু ভাইয়ের ফুচকা-চটপট্টির দোকান। বোন হালিমা ক্রেতাদের হাত নেড়ে আহবান করছেন চটপট্টি খাওয়ার জন্য। এছাড়া সে ভাই আসলু’র তৈরি করা ফুচকা-চটপট্টির প্লেট পরিবেশন করেন ক্রেতাদের হাতে হাতে। অপর বোন আকলিমা পাশের আরেকটি দোকানে সাজান ফুচকার প্লেট। সেটিও পরিবেশনের দায়িত্ব পালন করেন হালিমা।

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তাদের মা। মায়ের চিকিৎসার খরচ যোগাতে তারা বেছে নেয় চটপট্টি ব্যবসার পথ। মায়ের ক্যান্সার চিকিৎসায় সফল না হলেও তারা এখন এই ব্যবসা চালিয়েই ভালভাবে সংসার চালাচ্ছেন, বলছিলেন আকলিমা খাতুন।

নিজেরা প্রাইমারী পর্যন্ত লেখাপড়া করলেও এই ব্যবসার টাকা দিয়েই তাদের ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা করাচ্ছেন তারা। বাসা ভাড়া করে ভালভাবে সংসার চালাচ্ছেন তারা।

কথা হয় তাদের দোকানের নাজিফা তাসনিম এবং নওশীন তারান্নুমসহ কয়েকজন ক্রেতার সাথে। তারাও জানান যে তাদের হাতের ফুচকা-চটপট্টির স্বাদ বেশ ভালো। যারা একবার খেয়েছে তারা আবার আসেন এখানে। এদের ব্যবহারেও মুগ্ধ হন ক্রেতারা। চার ভাই-বোনের সম্মিলিত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান অনেক ক্রেতা। কোন কাজই ছোট নয় বলে উৎসাহ দিতে দেখা যায় কোনো কোনো ক্রেতাকে।