শিক্ষার্থীকে থাপড়াতে চাইলেন হল কর্মকর্তা, তদন্তে কমিটি

শিক্ষার্থীকে থাপড়াতে চাইলেন হল কর্মকর্তা, তদন্তে কমিটি

শিক্ষার্থীকে থাপড়াতে চাইলেন হল কর্মকর্তা, তদন্তে কমিটি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ রাসেল হলের শাখা কর্মকর্তা সুজল কুমার অধিকারীর বিরুদ্ধে ‘থাপড়ায়ে সোজা করে দেব’ বলে হুমকির দেওয়ার অভিযোগ করেন রিপন রায় নামের এক আবাসিক ছাত্র। এ নিয়ে গত বুধবার হল প্রভোস্ট ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ওই ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ শনিবার (৮ জানুয়ারি) সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে হল কর্তৃপক্ষ।

পরে বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্তকালীন হলের ছাত্র সংশ্লিষ্ট যাবতীয় দায়িত্ব থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে অব্যহতি দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।

হলটিতে বেলা ১১টার দিকে আলোচনা শুরু হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম, অভিযুক্ত কর্মকর্তা সুজল কুমার অধিকারী, ভুক্তভোগী রিপন রায়সহ হলের আবাসিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে হল কর্তৃপক্ষ সহকারী প্রক্টর শাহেদ আহমেদকে আহ্বায়ক এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর সারওয়ার ও ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অর্ঘ প্রসুন সরকারকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এদিকে, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে অভিযোগ তুলে নিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তা চাপ প্রয়োগ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগকারী ও তার সাথে থাকা শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি। বিষয়টি যেন একটি সুন্দর পরিণতির দিকে যায় তাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে বসেছিলাম। সবার সাথে কথা হয়েছে। হল প্রভোস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে।’