চতুর্থ বুস্টারও করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সফল নয় : রিপোর্ট

চতুর্থ বুস্টারও করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সফল নয় : রিপোর্ট

চতুর্থ বুস্টারও করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সফল নয় : রিপোর্ট

দুইটি টিকার পরে বহু দেশেই করোনার বুস্টার ডোজ নিতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ইউরোপ, অ্যামেরিকায় সরকার বুস্টার ডোজ নিতে আহ্বান জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। উপমহাদেশেও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলের একটি গবেষণাপত্র বলছে, তৃতীয় তো নয়ই, চতুর্থ বুস্টার ডোজও করোনা মোকাবিলায় সম্পূর্ণ সফল হবে না।

ইসরায়েলের সেবা মেডিক্যাল সেন্টারের গবেষকরা এই পরীক্ষাটি করেছেন। তবে তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনো প্রকাশিত হয়নি। প্রাথমিক রিপোর্টে তারা এই তথ্য দিয়েছেন। চতুর্থ ভ্যাকসিন নিয়ে এটিই প্রথম কাজ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরীক্ষার জন্য প্রায় ১৫০ জন ব্যক্তিকে বায়োনটেক ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। ১২০ জনকে দেওয়া হয়েছিল মডার্নার ভ্যাকসিন। সকলেরই তৃতীয় বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা নেওয়া ছিল। পাশাপাশি তৃতীয় বুস্টার ডোজ নেওয়া একটি দলকে রাখা হয়েছিল। যারা চতুর্থ টিকা পায়নি।

গবেষকরা দেখেছেন, চতুর্থ টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের শরীরে অ্যান্টিবডি বেড়েছে। কিন্তু ওমিক্রনের মতো ভাইরাসকে পুরোপুরি নির্মূল করতে তা সমর্থ নয়। অর্থাৎ, চতুর্থ ডোজ নিলেও ওমিক্রন হতে পারে। তবে একই সঙ্গে বলা হয়েছে, তৃতীয় ডোজ নেওয়া ব্যক্তির থেকে চতুর্থ ডোজ নেওয়া ব্যক্তির শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি।

বিশের একাধিক টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা এখন কম্বাইনড বা যৌথ টিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। যা বর্তমান টিকাগুলির চেয়ে বেশি কার্যকরী হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কোনো কোনো সংস্থা আবার ফ্লুয়ের জন্য তৈরি আরএসভি ভ্যাকসিনের সঙ্গে করোনার ভ্যাকসিন মিলিয়ে টিকা তৈরির চেষ্টা করছে। ২০২৩ সাল নাগাদ তা বাজারে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে