ছয় দৃষ্টিপ্রতিন্ধী শিক্ষার্থীই কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ

ছয় দৃষ্টিপ্রতিন্ধী শিক্ষার্থীই কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ

পাবনা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ছয় দৃষ্টিপ্রতিন্ধী শিক্ষার্থীই কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ছয় দৃষ্টিপ্রতিন্ধী শিক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় জীবনসংগ্রামে অংশগ্রহণকারী ছয়জনই কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা হলেন-দেশের বিভিন্ন জেলার। তারা মানবকল্যাণ ট্রাস্টে আবাসিক শিক্ষার্থী।

উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা হলেন-পাবনার রুহুল আমিন। ময়মনসিংহের তোফায়েল মিয়া, রাজশাহীর সাইফুল ইসলাম, খুলনার গলক মন্ডল, সিরাজগঞ্জের খোকন আলী এবং একই জেলার রাকিব হাসান। তাদের ফলাফল যথাক্রমে  জিপিএ-৪.৬, জিপিএ-৪.০৮ জিপিএ-৪.০৮, জিপিএ-৪.৩৩, জিপিএ-৪.৪২ এবং জিপিএ-৪.৩৩। তারা ছয় শিক্ষার্থীই

ব্রেইল পদ্ধতিতে শ্রুতলেখকের সহায়তায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন পাবনা শহীদ বুলবুল কলেজ এবং অন্য পাঁচজন পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী কলেজ কেন্দ েেথকে পরীক্ষা দেন।

মানবকল্যাণ ট্রাস্টের কর্মর্তারা জানান,‘ পাবনা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের আবাসিকে আরো রয়েছেন ৫৫ জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, ১২ জন শারীরিক প্রতিবন্ধী, ১৮ জন বাকপ্রতিবন্ধীসহ ১৪৫ জন। ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োজিত রয়েছেন এখানে।  থাকা-খাওয়া সব কিছুই আবাসিক এ প্রতিষ্ঠানটি বহন করে থাকে।  

বর্তমান অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন নি¤œ স্তর থেকে পর্যায়ক্রমে উত্তীর্ণ স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনকারী।  তাদের মধ্যে ৫০ জন পবিত্র কুরআনে হাফেজ ও ২৫ জন শিক্ষার্থী এমএ পাস করে বিভিন্ন কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। মানবকল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হোসেন ঐতিহ্যবাহী পাবনা এ্যাডওয়ার্ড সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের (অব) শিক্ষক। অবসরের পর থেকেই প্রতিবন্দ্বীদের নিয়ে ভাবতে থাকেন। সেই স্বপ্ন পূরণে অদম্য প্রয়সী শিক্ষাদানে ব্রত আবুল হোসেন।

তিনি বলেন,“ জন্মগতভাবে তারা দৃষ্টিপ্রতিবন্দ্বী হলেও সব ধরণের বাধা-বিপত্তি ও প্রতিকূলতাকে জয় করার প্রবল ইচ্ছা লুকায়িত রয়েছে তাদের মধ্যে। তারা সোনালি ভবিষ্যৎ অর্জনের যে স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়নে কাজ করছে মানবকল্যাণ ট্রাস্ট।”

তিনি আরও বলেন, ব্রেইল পদ্ধতিতে শ্রুতলেখকের সাহায্যে তারা শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকে, কিন্তু আমাদের দেশের বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। সরকার যদি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্রেইল পদ্ধতি চালু করে; তাহলে শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও শিক্ষা ক্রার্যক্রমে অংশ নিয়ে ভালো ফল করতে পারবে। তিনি এব্যাপারে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেণ।