নানা বিতর্কের মধ্যেই আগামীকাল পাবিপ্রবির ভিসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে

নানা বিতর্কের মধ্যেই আগামীকাল পাবিপ্রবির ভিসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে

নানা বিতর্কের মধ্যেই আগামীকাল পাবিপ্রবির ভিসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে

নানা বিতর্কের মধ্যেই আগামীকাল ভিসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে।  রোববার অষ্টমদিনেও রেজিস্ট্ররের কার্যালয়ে তালা ঝুলে। এদিকে ভিসি শুন্য,রেজিস্ট্রারের দফতর তালাদ্ধ ও দীর্ঘদিন ট্রেজারের পদ শুন্যতায় পাবিপ্রবি স্থবিরতা বিরাজ করছে।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন  ভিসির দুর্নীতির তদন্ত, অবৈধ নিয়োগ বাতিল ও কর্মচারী নিয়োগসহ ১৭ দফা দাবিতে রোববার (০৫ মার্চ ) টানা অষ্টমদিনের মতো রেজিস্টারের দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে রাখে। এর ফলে আটদিন যাবৎ রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম তার কার্যালয়ে ঢুকতে পারেননি।অফিসার্স অ্যাসোসিয়েমনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, "আমরা ১৭ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি নিয়ে কেও আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তাই তালা খোলা হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত অফিস তালাবদ্ধ থাকবে।

যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, "বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি সমাধানের  কোন নির্দেশ দেননি।’

এদিকে প্রায় এক মাস যাবৎ ভিসি শূন্য, আটদিন রেজিস্ট্রারের দফতর তালাবদ্ধ এবং দীর্ঘদিন ট্রেজারের পদ শূন্য থাকায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকান্ড স্থবির হয়ে পড়েছে।অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের আন্দোলনের মুখে ফেব্রুয়ারির ১০ তারিখ থেকে অর্থাৎ ২৩দিন যাবৎ ভিসি শূন্য, আটদিন রেজিস্ট্রারের দফতর তালাবদ্ধ এবং অনেক আগেই ট্রেজারের পদ শূন্য অবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় স্থবির অবস্থা বিরাজ করছে। 

ক্যাম্পাসের তথ্য অনুযায়ী, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী নির্ধারিত রিজেন্ট বোর্ড ব্যতিরেখেই ১০২ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ও পদোন্নতি বাদ দিয়ে মেয়াদ শেষকালে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন ১০ ফেব্রুয়ারি। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন রেজিস্ট্রার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ১৭ টি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা করেছে।

সোমবার (০৬ মার্চ ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলীর মেয়াদ শেষ। ২০১৮ সালের ৭ মার্চ নিয়োগ পাওয়া এই উপাচার্যের বিরুদ্ধে শতাধিক অনিয়ম, দুর্ণীতি, স্বজনপ্রীতি, অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।  মেয়াদ শেষের দিকে তিনি সেকশন অফিসার পদে নিজের আপন ভাতিজি কানিজ ফাতেমা ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওলিউল্লাহসহ ১০২টি পদে নানা অনিয়মে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিদায়ের আগে নিয়োগপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত করতে নানাভাবে চেষ্টা করছেন।

১০ ফেব্রুয়ারি রিজেন্ট বোর্ডের সভাকে কেন্দ্র করে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। দিনব্যাপী চরম উত্তেজনার পর রিজেন্ট বোর্ডের সভা স্থগিত করে ভিসি ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে গেছেন। 

চার বছর আগে নিয়োগের পর থেকেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। ইতোপূর্বে পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক রোস্তম আলীর বিরুদ্ধে ১০১টি দুর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত দাবি করে বিভিন্ন আন্দোলন করেন শিক্ষক কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে উপাচার্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর মধ্যে বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসি ও তদন্ত কমিটি।

অফিসার্স অ্যাসোসিয়েমনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ হোসেন বলেন, "আমরা ১৭ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি নিয়ে কেও আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। তাই তালা খোলা হয়নি। দাবি না মানা পর্যন্ত অফিস তালাবদ্ধ থাকবে।যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম বলেন, "বিষয়টি উপাচার্যকে জানিয়েছি। তিনি সমাধানের নির্দেশ দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।'এ ব্যাপারে ভিসির সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, আগামীকাল  সোমবার ( ৬ মার্চ ) উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।