রাজধানীজুড়ে কিউলেক্স মশার উপদ্রব

রাজধানীজুড়ে কিউলেক্স মশার উপদ্রব

রাজধানীজুড়ে কিউলেক্স মশার উপদ্রব

তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। কীটতত্ত্ববিদদের মতে, শীতের মধ্যে নর্দমা, জলাশয় ও আবর্জনা পরিষ্কার না করায় এমনটা হয়েছে। আর ৩২-৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কিউলেক্স মশার বংশবিস্তারের সহায়ক। বর্তমানে ঢাকার তাপমাত্রা কিউলেক্স মশার বংশবিস্তারের উপযোগী অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় সিটি করপোরেশনের বেশি কিছু করণীয় নেই। মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের কাজটি বছরজুড়ে করা দরকার। আর এ কাজটি একটি নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় হতে হবে। যে কাজটি সিটি করপোরেশনের করার কোনো আগ্রহ দেখা যায় না।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঢাকাবাসীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে করোনা মহামারি ও ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব। পাশাপাশি ধুলাবালু, শব্দদূষণ ও যানজটের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। এর সঙ্গে কিউলেক্স মশার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়া নগরবাসীর ওপর ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, বাজার, উন্মুক্ত স্থান, সড়ক, পার্ক, খেলার মাঠ, মসজিদ যেখানেই যান না কেন-মশার উপদ্রব থেকে কোনো নিস্তার মিলছে না। দুই সিটির ব্যর্থতার কারণে মশার কয়েল, স্প্রে, মশারি বিক্রিও বেড়েছে।

এ প্রসঙ্গে কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঢাকায় কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেড়েছে। রাজধানীতে এখন যেসব মশা দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে ৯৮ ভাগই কিউলেক্স। পানি শুকিয়ে ঘন হচ্ছে। এমন পরিবেশ কিউলেক্স মশার বংশবিস্তারের জন্য সহায়ক।