অন্যের নিন্দা করা ঘৃণ্য কাজ

অন্যের নিন্দা করা ঘৃণ্য কাজ

প্রতীকি ছবি

মুমিন সর্বদা ইতিবাচক হয়, নেতিবাচক চিন্তা মুমিনের জন্য শোভা পায় না। অন্য মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করাই মুমিনের স্বভাব হওয়া উচিত, কুধারণা থেকে দূরে থাকা উচিত। পবিত্র কোরআনে কুধারণা পরিহার করা এবং কেউ কুধারণা সৃষ্টি করতে চাইলে তাকে এড়িয়ে চলার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এ কথা শোনার পর মুমিন পুরুষ এবং নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করেনি এবং বলেনি; এটা তো সুস্পষ্ট অপবাদ?’ (সুরা : নুর, আয়াত : ১২)

পবিত্র কোরআনে কুধারণা করা, অন্যের নিন্দা করা, অন্যের পেছনে লেগে থাকাকে ঘৃণ্য কাজ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

মহান আল্লাহ মুমিন বান্দাদের এসব কাজ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা বহুবিধ অনুমান থেকে দূরে থাকো। কারণ অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ এবং তোমরা একে অপরের গোপনীয় বিষয় অনুসন্ধান করো না এবং একে অপরের পশ্চাতে নিন্দা করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করতে চায়? বস্তুত তোমরা তো এটাকে ঘৃণাই মনে কর। তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু। ’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১২)

মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতদের সুধারণা পোষণ করার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন। এবং কুধারণা, হিংসা, অন্যের দোষচর্চা ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে বলেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ধারণা করা থেকে বেঁচে থাকো। কারণ ধারণা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় মিথ্যা। কারো দোষ অনুসন্ধান করো না, দোষ বের করার জন্য গুপ্তচরবৃত্তি করো না, একে অন্যের হিংসা করো না, পরস্পরে সম্পর্কচ্ছেদ করো না। ভ্রাতৃবন্ধনে আবদ্ধ আল্লাহর বান্দা হয়ে যাও। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬৭২৪)

যাতে অন্যের ওপর কুধারণা পোষণ না করতে হয়, এ জন্য সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনদের মাঝেও এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা হতো। আবুল আলিয়া (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘আমাদের নির্দেশ দেওয়া হতো যে আমরা যেন কোনো বস্তু খাদেমের কাছে দেওয়ার সময় সিলমোহর করে, ওজন করে বা গুণে দিই, যাতে তার অভ্যাস খারাপ না হতে পারে বা আমাদের কাউকেও কুধারণার শিকার না হতে হয়। ’ (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ১৬৬)

তাই আমাদের উচিত, কুধারণা থেকে দূরে থাকা এবং মুমিনের প্রতি সুধারণা পোষণ করা। ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখা। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।