ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভিটামিন ই

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভিটামিন ই

ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক ভিটামিন ই

গবেষণায় দেখা গেছে, ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দেহকে সহায়তা করে ভিটামিন ই।স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি ক্যান্সারের প্রতিরোধ করে এমন খাবার খাওয়াও প্রয়োজন। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে এমন একটি উপাদান হলো ভিটামিন ই।‘ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের’ গবেষকরা তাদের নথিভুক্ত থাকা রোগীর তথ্য বিশ্লেষণের পাশাপাশি বিভিন্ন গবেষণা চালায়।

তাদের এই পর্যবেক্ষণের ফলাফল ‘ক্যান্সার ডিসকোভারি’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।যেখানে বলা হয়েছে, ভিটামিন ই ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপির ফলাফলে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। দেখা গেছে, ক্যান্সারের রোগীদের মধ্যে যারা ‘ইমিউন চেকপয়েন্ট থেরাপির (আইসিটি)’-এর সাথে ভিটামিন ই গ্রহণ করেছেন তাদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

ভিটামিন ই
এ গবেষণার কথা উল্লেখ করে এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের পুষ্টিবিদ মেলিসা মিত্রি বলেন, “কয়েকটি গবেষণায় ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন ই-এর সম্ভাব্য এবং কেমোথেরাপিতে এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়। এটি ক্যান্সার ইমিউনোথেরাপি যেমন ‘ইমিউন চেকপয়েন্ট থেরাপি’র পাশাপাশি ভিটামিন ই সম্পূরকগুলোর ভূমিকা পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে করা প্রথম গবেষণাগুলোর মধ্যে একটি।”

মিত্রি আরো উল্লেখ করেন, ‘ভিটামিন ই একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের ওপর একটি প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব সৃষ্টি করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ভিটামিন ই উন্মুক্ত র্যাডিকেল, পরিবেশের ক্ষতিকারক অণুগুলোকে শরীরে প্রবেশ করতে এবং ক্ষতি করতে বাধা দিতে সাহায্য করে। ক্যান্সারের বৃদ্ধি কমাতেও ভিটামিন ই ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে দেখা গেছে।’

ক্যান্সার ‘ইমিউনোথেরাপি’র সাথে ভিটামিন ই-এর উপকারিতা নিয়ে গবেষণা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ অধ্যয়নটি প্রথমগুলোর মধ্যে একটি যা এখনো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আর একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য আরো গবেষণার প্রয়োজন, বলে মনে করেন মিত্রি।

তার মতে, ‘ভিটামিন ই সমৃদ্ধ পুষ্টিকর খাবার ক্যান্সার প্রতিরোধ ও ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে পারে।’খাবারে ভিটামিন ই যোগ করতে মিত্রি ‘বাদাম, চীনাবাদামের মাখন, সূর্যমুখীর বীজ, বিট ও পাতাবহুল শাকসবজি যেমন- পালংশাক খাওয়ার পরামর্শ দেন।’