পাবনায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট!

পাবনায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট!

পাবনায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট!

পাবনার বিভিন্ন খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। ঈদের আগে এমন সংকটের খবরে বিভিন্ন  দোকানে তেল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ভোক্তারা।

তেল না পেয়ে একের পর এক দোকান ঘুরতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে যেসব দোকানে তেল রয়েছে, তারা গায়ের মূল্যের থেকে লিটার প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন। খোলা তেলও বিক্রি হচ্ছে বোতল জাত তেলের থেকে বেশি দামে।

শহরের রাধানগর এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৫ লিটার তেলের বোতল কেনার জন্য শহরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দোকানে দোকানে ঘুরেছি, কিন্তু তেল কিনতে পারিনি। পরিচিত এক দোকানির কাছ থেকে ১ লিটার তেল নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আগে চাহিদা বাড়লেও তেল আমদানিকারী কোম্পানিগুলো সরবরাহ কমিয়ে  দেয়ায় ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।

পাবনা শহরে প্রেসক্লাব এলাকায় নান্নু সোরের মালিক মোঃ মন্টু জানান, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কোম্পানিগুলো এখন অর্ধেক তেল সরবরাহ করছে। অথচ ঈদের আগে চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ধরণা দিয়েও চাহিদামতো বোতলজাত তেল পাওয়া যাচ্ছে না।

পাবনা শহরের কুঠিপারা এলাকার রাইসুল ইসলাম বলেন, ঈদ এবং আগামী এক মাসের জন্য ৮ লিটার সয়াবিন  তেল প্রয়োজন। গত দুই দিন পাবনার বড় বাজার, মেইন রোডের বিভিন্ন দোকানে ঘুরেও এক বোতল তেল কিনতে পারিনি। অবশেষে লাইব্রেরি বাজারের এক পরিচিত দোকানীকে অনুরোধ করে ৫ লিটারের এক বোতল  তেল ৭৯০ টাকায় কিনেছি।

পাবনা শহরের পৈইলানপুর মোরের দোকানি মোঃ. টিটু বলেন, পাইকারি বাজারে তেল পাওয়া যাচ্ছে না বলে  ক্রেতাদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। বোতলজাত তেলের সংকট থাকলেও খোলা তেলের সংকট নেই।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, সিটি গ্রুপের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তার কর্ম এলাকায় স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ কেস তেল প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন  কোম্পানি এ চাহিদা পূরণ করে। হঠাৎ করে খোলা তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ কোম্পানি বোতলজাত তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে।

পাবনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এবিএম ফজলুর রহমান বলেন, আকস্মিক সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সংকটের জন্য জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দায়ী নয় বলে দাবি করে ফজলু বলেন, তেল কোম্পানিগুলো কারসাজি করে সংকট তৈরি করেছে।

পাবনা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সহকারী পরিচালক মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা বাজারে মনিটরিং শুরু করেছি। সংকটের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে।